উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২/০৯/২০২২ ২:৫৪ পিএম

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করতে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত সমুদ্রে রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের ৩৬ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।

আগামী বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির দ্বিতীয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভার আগে কমিটির সদস্যরা কক্সবাজার অপারেশন এলাকাসহ রানওয়ে সমুদ্রে সম্প্রসারণ কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বিমানবন্দরের এয়ার সাইডের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়। এরপর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে বেবিচক চেয়ারম্যান কাজের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।

এ সময় প্রকল্প কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রানওয়ে সমুদ্রে সম্প্রসারণ কাজ আগামী বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে।

সভায় কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করনের জন্য বিমানবন্দর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নিরাপত্তা ঝুঁকিসমূহ চিহ্নিত করা ও তা সমাধানের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের সমুদ্রে রানওয়ে সম্প্রসারণ ৩৬% শেষ

সভায় এভিয়েশন সিকিউরিটি ও এরোড্রাম সার্টিফিকেশনের দৃষ্টিকোন থেকে বিমানবন্দর এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো সংহত করার বিষয়ে বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

তাতে তিনি এয়ার সাইড, টার্মিনাল ভবন ও ল্যান্ড সাইডের নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়টি তুলে ধরেন। প্রস্তাবনায় বিমান বাহিনী ঘাঁটি, কক্সবাজারের এয়ার অধিনায়ক, এনএসআই-এর প্রতিনিধি, ডিআইজি, পুলিশ সদর দপ্তর, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিসহ অন্য সংস্থার প্রতিনিধিরা মতামত দেন।

সভায় বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করনের বিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনার কারণে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে ছয় হাজার ফুট থেকে নয় হাজার ফুটে উন্নীত করা হয়। তারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কক্সবাজার বিমানবন্দর সমুদ্রে সম্প্রসারণ কাজ এগিয়ে চলেছে। তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জতিক বিমানবন্দরে পরিণত করতে স্থানীয় সকল প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করেন।

ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন-আইকাও-এর মানদন্ড অনুযায়ী টাওয়ার বিল্ডিং, ফায়ার ষ্টেশনসহ অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে পুনঃ নির্মাণ প্রয়োজন হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হবে।

সভায় জানানো হয়, বিমানবন্দর এলাকা থেকে এ পর্যন্ত অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ৬০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবশিষ্ট অবৈধ বসবাস কারীদের উচ্ছেদ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সভায় বেবিচকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিমান বাহিনী ঘাঁটি, কক্সবাজারের অধিনায়ক, স্বরাষ্ট্র ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, কক্সবাজার জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন

পাঠকের মতামত

ঘটনাপ্রবাহঃ কক্সবাজার

জুলাই যোদ্ধার স্বীকৃতি পাচ্ছে কক্সবাজারে নিহত হওয়া রোহিঙ্গা কিশোর

আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে কক্সবাজারে নিহত রোহিঙ্গা কিশোর নূর মোস্তফাকে ‘জুলাই শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃতি ...

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বাদী এখন কক্সবাজার দুদকের উপ-পরিচালক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ...

দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সরকারি লাইসেন্স নেই, তদন্ত টিমের পরিদর্শন

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ায় ১৫টি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চলছে অনুমতি বিহীন। সরকারিভাবে কোন ...