উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮/১০/২০২৩ ৩:৫২ পিএম

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ মারুফ আদনানের বিরুদ্ধে হোটেলে ভাতের বিল না দেওয়ার অভিযোগ উত্থাপনের ঘটনায় হাজী দেলোয়ারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে হোটেল ব্যবসায়ী শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী রুনা বাদী হয়ে তার পরিবার সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে এ সাধারণ ডায়েরি করেন।

অভিযুক্তরা হলেন সাতকানিয়ার মৃত ওয়াজর রহমানের ছেলে ও ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্টের অন্যতম স্বত্বাধিকারী হাজী দেলোয়ার হোসেন (৬৫), শহরের লাইটহাউস পাড়ার মৃত আলমগীরের ছেলে এনাম (৩৫), শহরের বড় বাজার এলাকার মৃত আবদুল মাবুদ চৌধুরীর ছেলে মাশুকুর রহমান (৪৫) ও শহরের বিমানবন্দর সড়কের মৃত আবু ছৈয়দের ছেলে শেখ আবদুল্লাহ (৩৫)।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর কলাতলীর ওয়ার্ল্ডবিচ হোটেলের বেসমেন্টে অবস্থিত একটি মেচের মালিক শাহাব উদ্দিন থানায় অভিযোগ করেন যে, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান গত ৭ মাস ধরে তার কর্মীদের নিয়ে শাহাবউদ্দিনের ভাতের হোটেলে (মেচ) নিয়মিত খাওয়া–দাওয়া করেন। খাওয়া–দাওয়া শেষে বিল বাকি রেখে চলে যেতেন। সাত মাসে বকেয়া বিল দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকায়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বকেয়া টাকা চাইলে হোটেলের মালিক ও কর্মচারীদের মারধর করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা ও তার কর্মীরা। এ সময় তারা হোটেলের ক্যাশে থাকা ৩০ হাজার টাকাও লুট করেন।

এই অভিযোগ তদন্তে গত সোমবার ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি খাদেমুল বাশার জয়কে প্রধান করে গঠিত এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি রবিউল হাসান রানা, উপ–সম্পাদক শাহীদুল ইসলাম শাকিল ও আহসান হাবিব সজীব। জবানবন্দীতে শত শত মানুষের সামনে অভিযোগকারী শাহাব উদ্দিন বলেন, মারুফের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। হাজী দেলোয়ারই একটি কাগজে আমার দস্তখত নিয়ে এ জালিয়াতি করেছেন। এরপর আমি আর কিছু জানি না।

হোটেল ব্যবসায়ী শাহাবউদ্দিনের পিতা কঙবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়া ডেইল পাড়ার ওয়াদ আলী বলেন, আমরা পিতাপুত্র হোটেলটি চালাতাম। শাহাবউদ্দিন গত ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ৫ মিনিটের জন্য বলে হোটেলের বাইরে যায়। এরপর তার দস্তখত নিয়ে হাজী দেলোয়ার থানায় অভিযোগ করেন। যেখানে মারুফকে আসামি হিসাবে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। অথচ মারুফের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। শাহাবউদ্দিনের মা রশিদা বেগমও তদন্ত কমিটির কাছে একই বক্তব্য দেন।

এই ঘটনার পর হাজী দেলোয়ার এবং তার সহযোগীরা শাহাবউদ্দিন ও তার পরিবার সদস্যদের হুমকী দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তার স্ত্রী রুনা। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাতে বাধ্য হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান।

কঙবাজার সদর থানার ওসি রাকিবুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...