উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ০১/০৯/২০২২ ৬:৩৯ পিএম , আপডেট: ০১/০৯/২০২২ ৬:৪০ পিএম

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের যৌথ আয়োজনে “আঁরা রোহিঙ্গা” অর্থাৎ “আমরা রোহিঙ্গা” শিরোনামে দুই সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী আজ শুরু হয়েছে। দশজন রোহিঙ্গা শরণার্থীর তোলা ছবিতে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরের জীবন উঠে এসেছে এই প্রদর্শনীতে। রোহিঙ্গাটোগ্রাফার ম্যাগাজিনের উপর ভিত্তি করে আয়োজিত এই প্রদর্শনী তুলে ধরে শরণার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন, যারা পাঁচ বছর আগে মিয়ানমারের সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাউ বলেন, “এই রোহিঙ্গা তরুণদের ছবিগুলো শৈল্পিকভাবে তাদের স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার মাধ্যমে তাদের জীবনের গল্প বলে। এই প্রদর্শনীতে আমরা আরও দেখতে পাই মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষের বাস্তুচ্যুতির ছবি, যে স্মৃতি তাঁদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে।”

ডেভিড পালাজন এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আমেনা খাতুনের কিউরেশনে তৈরি এই প্রদর্শনীতে ৫০টি ছবির মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্মৃতি, আশা, স্বপ্ন, বিশ্বাস, সৌন্দর্য, দক্ষতা, শোক, ক্ষতি ও ভালবাসার চিত্র দেখা যায়। উপরন্তু, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আর্কাইভ থেকে ১১টি ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে এখানে, যার মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশী মানুষদের শরণার্থী জীবন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ৫০ শতাংশের বেশি তরুণ। শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের সীমিত সুযোগ নিয়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে জীবন যাপন করছে তারা। শরণার্থী শিবিরের কঠিন জীবনে শিল্প ও ফটোগ্রাফিকে তারা বেছে নিয়েছে গঠনমূলকভাবে তাদের আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য। ছবি আঁকা বা ছবি তোলার মাধ্যমে তারা তাদের সংস্কৃতি ও ইতিহাসকেও বাঁচিয়ে রাখছে, কারণ তাদের কাজের মাধ্যমে বেশিরভাগ সময়ই তাদের সম্প্রদায়ের দৈনন্দিন জীবন উঠে আসে।

আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী ফটোগ্রাফার উপস্থিত ছিলেন এবং দর্শকরা তাঁদের জীবন সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছিলেন। “আঁরা রোহিঙ্গা” প্রদর্শনীটি ১ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে চলবে।

পাঠকের মতামত

ঘটনাপ্রবাহঃ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা

এমএসএফ হাসপাতাল সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা : মানবিক সেবা নাকি নতুন দ্বন্দ্বের সূচনা?

উখিয়া উপজেলার দক্ষিণের গ্রাম গয়ালমারা। এখানেই দাঁড়িয়ে আছে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা এমএসএফ (Médecins Sans Frontières) ...