প্রকাশিত: ২০/০১/২০২২ ৯:০৩ এএম

রফিকুল ইসলাম ::
মানবিক সহায়তায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য কোনরূপ হুমকির কারণ হয়ে উঠার সুযোগ নেই। হুমকি সৃষ্টির মত কোন পরিস্থিতি বা কারও উপস্থিতি আমাদের দেশের মাটিতে নেই বলেও দাবী করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান- এপিবিএন এর অধিনায়ক।
মিয়ানমারে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি বা আরসার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে ৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক মোঃ সিহাব কায়সার খান বলেন, আরসা বা অন্য কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কোন উপস্থিতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেই।
আরসার নেতৃস্থানীয় একজনকে সম্প্রতি আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক নাইমুল হক। এব্যাপারে ৮ এপিবিএন এর বলেন,রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে কিছু লোক নানা অপরাধ করে পার পেতে হয়তো আরসার নাম ব্যবহার করছে। ইতিমধ্যে এপিবিএন এর কঠোরতায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এক বছরের কর্মকাণ্ড নিয়ে উখিয়া সদর দপ্তরে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় গতকাল বুধবার দুপুরে ৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক উপরোক্ত বক্তব্য দেন।
এসময় তিনি বলেন, গত বছরের ১৭ জানুয়ারী উখিয়ার ১১ টি ক্যাম্পের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় ৮ এপিবিএন। ১১ টি ক্যাম্পে সাড়ে তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গার বসবাস।
অধিনায়ক আরো বলেন, ক্যাম্পে ৫ টি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে এবং আরও ২ টি নির্মাণাধীন। গত এক বছরে ১ কেজি স্বর্ণালংকার, ৮ লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা, ৮ টি আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও ১৩২ টি এলজি, ২৬ রাউন্ড গোলাবারুদ, ৫৮ লক্ষ ৬ হাজার বাংলাদেশী টাকা, জাল নোট ৫০ হাজার, ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার মিয়ানমার মুদ্রা বা কিয়াট জব্দ করা হয়েছে।
অধিনায়ক বলেন, এসময় ১৮ নং ক্যাম্পে মাদরাসায় ৬ জন হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিসহ তালিকাভূক্ত ৪৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন পুলিশ। তব সবচেয়ে বেশী সফলতা আসছে পালাক্রমে ৭৭৩ টি সাব ব্লকে রাত্রিকালীন পাহারায়। প্রতি ১৯ দিন পর একজন রোহিঙ্গা একরাতের জন্য নিজ নিজ ব্লক পাহারা দিচ্ছে স্বেচ্ছায়। এতে অপরাধ হ্রাস পেয়ে রোহিঙ্গারা স্বস্তিতে থাকতে পারছে, আর আইন শৃংখলা পরিস্থিতিরও ক্রমোন্নতি ঘটছে বলে তিনি জানান।
মত বিনিময় সভায় ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) মোঃ সিহাব কায়সার খানসহ টু-আইসি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশফাকুজ্জামান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোঃ কামরান হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোয়েব আহমেদ খান, এএসপি দীপংকর ঘোষ,এএসপি মোঃ সোহেল রানা, এএসপি মোঃ ফারুক আহমেদ, এএসপি তোরিকুল ইসলাম, এএসপি জামাল উদ্দিন ভুঁইয়া, এএসপি মেঃ শাহ আলমসহ প্রত্যেক ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শকগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন

পাঠকের মতামত

টেকনাফের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী’র কারাবন্দি স্ত্রী ফেসবুকে ভাইরাল!

পাকিস্তানের তারকা অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের চেহেরার সাথে মিল থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি কক্সবাজারের এক ...