প্রকাশিত: ০১/১১/২০১৭ ৯:০৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১১:৩৮ এএম
ফাইল ছবি

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও::
মেয়াদোত্তীর্ণ ভেজাল ওষুধের পাইকারী হাট কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাজার। অবশ্যই এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবুও বেপরোয়াভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কতিপয় ব্যবসায়ীরা।

অভিযোগ রয়েছে, ঈদগাঁও বাজারের অর্ধশতাধিক ফার্মেসীর মধ্যে গুটি কয়েক ফার্মেসীতে মিলে নকল ওষুধ। শুধু নাম সর্বস্ব নয়, নামিদামি ব্র্যান্ডের ওষুধও ভেজাল পাওয়া যাচ্ছে। তবুও ভেজালবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেউ। সচেতন মহল বলছেন, কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভেজাল ওষুধ ব্যবসায়ীচক্র আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে।

একাধিক সূত্রের দাবী ও বাজারের ওষুধ মার্কেট ঘুরে জানা গেছে,, সেকলো নামে একটি ওষুধ অত্যধিক জনপ্রিয়। নামিদামি ব্র্যান্ডের এসব ওষুধই বেশি ভেজাল পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ফ্লুক্লক্স, ফ্লুক্লোক্সিন, রেভিস্টার, মাইজিড, ম্যাক্সপ্রো, জিম্যাক্স, নাপা এক্সট্রা, রেনিটিডিনের মতো ওষুধগুলো সবচেয়ে বেশি রয়েছে।

ঈদগাঁও বাজারের বেশ ক’জন ওষুধ ব্যবসায়ী জানান, কিছু কোম্পানির লোক রয়েছে যারা নির্দিষ্ট নামের নকল ওষুধ সরবরাহ করেন। তারা অনেকেই নিয়মিত ভেজাল ওষুধ গুলো মার্কেটে দেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, নকল ও ভেজাল ওষুধের সরাসরি মারাত্মক প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের ওপর। অসুস্থ হলে ওষুধ খেতেই হবে। সঠিক ওষুধ না খেয়ে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ খেলে অসুখ ভালো না হয়ে আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তারা দ্রুত ভেজাল ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার দাবী জানান।

কক্সবাজার কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির জনৈক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা শুধু ওষুধের দোকানগুলো দেখাশোনা করি। ভেজাল-নকল ওষুধ আমাদের আওতায় পড়ে না। তিনি এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

পাঠকের মতামত

পল্লীবিদ্যুৎকে দায়ী করছে বনবিভাগবৈদ্যুতিক ফাঁদে উখিয়ায় বন্যহাতি নিধন

কক্সবাজারের উখিয়ায় আবারো বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার রাজাপালং ...

টেকনাফে বাজার সমুহে যানজটমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান জোরদারের দাবী

টেকনাফের বিভিন্ন বাজার সমূহে প্রতিনিয়ত যানজটে জনজীবন অতীষ্ট হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের মানুষ। যানজটের জন্য ব্যবসায়ীসহ ...