প্রকাশিত: ০১/০৭/২০১৭ ১:২৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৩১ পিএম

সংবাদদাতা::
উখিয়ার উপকুলীয় এলাকা জালিয়া পালং এর মনখালীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় বসতভিটার ঘেরাটেংরা এবং পিলার ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় মনখালী গ্রামের মাইক আবুল কালামের মেয়ের জামাই হাবিব বসত বিটা করার জন্য কিছু জমি ক্রয় করে মনখালী গর্জন বনিয়া নামক এলাকায়। উক্ত জমিটি দীর্ঘ দিন ধরে মনখালী গ্রামের মাষ্টার শাহ আলম ক্রয় করে দখল ভোগ করে আসছিল।তার কাছ থেকে জমিটি হাবিব ক্রয় করে দখল আমল বুজে নিয়ে চিকল আর সিমেন্টের পিলার দিয়ে ঘিরে রেখেছিল। উক্ত জমিতে যখন ঘর করতে যায় তখনই ঘটে বিপত্তি।ভিকটিমের অভিযোগ এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারী এবং সন্ত্রাস প্রকৃতির লোক শামশু,জালাল,মনজুরসহ আর কয়েকজন মিলে যুবদলের ইউনিয়ন পর্যায়ের এক নেতার ইন্দনে হাবিবের শ্বাশুর অর্থাৎ আবুল কালামের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে এই বলে যে, সেখানে আমাদের জমি রয়েছে তাই আমাদেরকে টাকা দিতে হবে । টাকা না দিলে আমরা ঘর করতে দিবনা। অসহায় আবুল কালাম গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের এই কথা জানালে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা,৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার, বর্তমান মেম্বার, এবং আমিন নিয়ে দীর্ঘ একমাস দপায় দপায় বৈঠক করে তাদের দাবিকৃত টাকা বা জমির স্বপক্ষে কোন ধরনের প্রমান না পেয়ে তাদেরকে(চাঁদা দাবিকারীদেরকে)গত ৩০/০৬/২০১৭ইং তারিখ হতে উক্ত জমিতে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে নিষেধ করে। এতে সন্ত্রসী শামশুরা আর ও ক্ষিপ্ত হয়ে সাথে সাথে দা, কিরিচ, এবং লাঠি নিয়ে উক্ত আবুল কালামের মেয়ে জামাইয়ের জমিতে গিয়ে ঘিরাবেড়া এবং পিলার ভেঙ্গে দিয়ে বীরদর্পে বলতে থাকে যে সাহস থাকলে জমিতে নেমে দেখ,যদি কেউ নামে তাহলে তাদেরকে কেটে টুকরো,টুকরো করে ফেলব। সরেজমিনে গিয়ে ঘিরাবেড়া এবং পিলার ভাঙ্গার চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। এই ব্যাপারে বর্তমান মেম্বার মোহাম্মদ মুচা, সাবেক মেম্বার সোলতান আহমদ,এবং গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং আর ও একজন সাবেক মেম্বার জনাব সিরাজুল ইসলাম সহ জমিটি তিনবারের বেশি মাপা হয়েছে বলে জানান। তার পর ও কেন তারা স্হানীয় বিচার অমান্য করে এই রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্হা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে সন্ত্রাসীরা প্রানঘাতি হামলা চালাতে পারে বলে আশংকা করছেন উক্ত জমির মালিক। এই সন্ত্রাসীরা দীর্ঘ দিন থেকে এভাবে চাঁদাবাজি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।এদিকে দিনদুপুরে মধ্যযুগীয় কায়দায় একজন নিরহ লোকের বসতবিটা ভাঙ্গার ঘটনায় অনেককে বলতে শুনা যায় এই যুবদল নেতার কুটির জোর কোথায়? এলাকার সচেতন মহলের অভিমত প্রশাসনের উচিত জরুরী ভিত্তিতে উক্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা। তা না হলে উক্ত সন্ত্রাসীদের কোন ভাবেই থামানো যাবেনা।

পাঠকের মতামত

মনোনয়নপত্র বিতরণ কাল; উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নির্বাচন ৮ নভেম্বর

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার (১ ...

উন্মুক্ত হলেও সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ : পর্যটকহীনতা ও শর্তই মূল বাধা

সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরও নভেম্বর মাসে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ ...

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মা’ই’ন বিস্ফোরণে আহত বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যু

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হওয়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ...

উখিয়া হাসপাতাল ১০০ শয্যায় উন্নীত না হলে চিকিৎসা সংকট বাড়বে!

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আধুনিকায়ন ও ৫০ শয্যা থেকে ...