প্রকাশিত: ২৮/০৪/২০২০ ৪:৪৯ পিএম

রোহিঙ্গাদের কেন বারবার বাংলাদেশকেই আশ্রয় দিতে হবে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মালয়েশিয়ায় আশ্রয় না পেয়ে আনুমানিক পাঁচশ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু এখনও গভীর সমুদ্রে ভাসছেন তাদের গ্রহণ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

জাগো নিউজকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরের কাছে ভাসমান দুটি নৌকায় পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গাকে নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার জন্য আমাদের অনুরোধ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেত।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ‘এই মহাসাগরের চতুর্দিকে আরও অনেকগুলো রাষ্ট্র আছে। জাতিসংঘের আইন হচ্ছে এ ধরনের মানবিক দুর্যোগ হলে উপকূলবর্তী দেশগুলোর সমান দায়িত্ব ভুক্তভোগীদের দেখভাল করার। আমরা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার গ্রহণ করেছি। সবসময় আমরাই কেন তাদের দায়িত্ব নেব?’

ড. মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আমাদের নয়, মিয়ানমারের নাগরিক। মিয়ানমারেরই প্রধান দায়িত্ব তাদের দেখভাল করা। নতুবা বাকি সবাই মিলে এদের দেখভাল করতে হবে। ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আমরা কী অন্যায় করেছি, যে দুনিয়ার বাকি রোহিঙ্গাদেরও আশ্রয় দিতে হবে? এটা কী ন্যায়বিচার?’

তবে একজন মানুষও সমুদ্রগর্ভে মারা যাক তা চাই না বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন বড় সংস্থা বা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যারা রোহিঙ্গাদের জন্য এত চিন্তিত তাদের হেড কোয়ার্টার যেসব দেশে, তারা অল্প কিছু রোহিঙ্গাকে নিয়েছে। আমাদের দেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আছে। তাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা আমাদের দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যান।

পাঠকের মতামত

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক নারীর পা বিচ্ছিন্ন

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি :: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নিকুছড়ি সীমান্তে মর্মান্তিক মাইন বিস্ফোরণের ...

কক্সবাজারে দুর্ঘটনার পর ট্রেন আটকে বিক্ষোভ, তদন্ত কমিটি গঠন

কক্সবাজারের রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার পাঁচজন যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় কক্সবাজারমুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে ...