প্রকাশিত: ২৮/০৬/২০১৮ ১২:৫৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:২৭ এএম

আহমদ গিয়াস:
কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্রতীরবর্তী মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগর থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত রাস্তায় সড়ক বাতি স্থাপনের ফলে পাল্টে গেছে প্রায় চার কিলোমিটারব্যাপী সৈকতের রাতের পরিবেশ। যে রাস্তা দিয়ে মানুষ সন্ধ্যার পর আতংকে চলাচল করত, সেটিই এখন পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারের ‘নেকলেচ বীচ’। এখন সন্ধ্যার পর হাজার হাজার পর্যটক ভীড় করছেন সমুদ্র সৈকত ও সৈকত সংলগ্ন এ সড়কে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পিডিবির বৈদ্যুতিক পিলারে এ বাতি স্থাপন করেছে। ঈদের দিন পরীক্ষামূলকভাবে এ সড়ক বাতি চালুর পর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের নতুন কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেছে এলাকাটি। একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে সমুদ্র আর মাঝখান চিরে বয়ে গেছে এই মেরিন ড্রাইভ। এই ড্রাইভের দরিয়ানগর থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারের বেশি এলাকা জনবসতিহীন। রাতের বেলায় এতদিন রাস্তা ও সৈকত ঢাকা থাকত ঘুটঘুটে অন্ধকারে। কেউ বেড়াতে যাওয়া দূরের কথা, এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল করতেও ভয়ে দোয়া-মন্ত্র পাঠ করত আতংকিত মানুষ। অসংখ্য ছিনতাই, এমনকি খুন, অপহরণের ঘটনাও ঘটেছে এ সড়কে। কিন্তু সম্প্রতি কউক তাদের নিজস্ব অর্থায়নে এ সড়ক বাতি স্থাপনের ফলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টোয়াক বাংলাদেশ) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান জানান, প্রতিবছর কক্সবাজারে ভ্রমণ করেন প্রায় অর্ধকোটি পর্যটক। যার এক তৃতীয়াংশই মেরিন ড্রাইভ হয়ে ইনানী সৈকতে বেড়াতে যান। কিন্তু দরিয়ানগর থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জনবসতিহীন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকার সুযোগে অনেক অঘটন ঘটত। নিরাপত্তাহীনতার কারণে ইনানী ও হিমছড়ি থেকে সন্ধ্যার আগের শহরে ফিরতে হত পর্যটকদের। এলাকাটি এখন আলোকিত হওয়ায় পর্যটকদের আকর্ষণের নতুন কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উক্ত এলাকায় ‘কাছিম’ ডিম পাড়ে- এই অজুহাতে এতদিন সড়ক বাতি স্থাপনে আপত্তি জানিয়ে আসছিল পরিবেশ সংস্থাগুলো। কিন্তু স্থানীয় জনগণের তীব্র দাবির মুখে অবশেষে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে প্রথম নিজস্ব অর্থায়নে এ সড়ক বাতি স্থাপন করল। পরবর্তীতে টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত সড়ক বাতি স্থাপন করা হবে বলে জানান কউক চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ।

তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। নতুন বাজেটে এ জন্য বরাদ্দও রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দরিয়ানগর থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তায় সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি জানান, কক্সবাজারের সৈান্দর্য বর্ধনের জন্য মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমে কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কানাডার প্রাচীনতম মুসলিম ত্রাণ সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) ও ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ...

রোহিঙ্গা নারীকে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরখাস্ত

এক রোহিঙ্গা নারীকে অবৈধভাবে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নির্বাচন :সভাপতি জসিম, সম্পাদক তানভীর

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৫-এর ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (৬ ...