ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৫/০৬/২০২৩ ৮:১৩ এএম

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর চলমান বিশেষ অভিযান শেষের পথে। এরই মধ্যে তথাকথিত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদর দপ্তর এবং প্রশিক্ষণ সদর দপ্তর সরকারের দখলে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের অভিযান এলাকার মধ্যে আর কোনো সন্ত্রাসী নেই।’

গতকাল রবিবার বান্দরবান রিজিয়ন সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের সৈনিকরা শত্রুর হাতে প্রাণ দিয়েছেন। তবু আমরা শান্তির মাধ্যমে সমাধান চাই।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি দেশপ্রেমিক মানবিক বাহিনী। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অংশ নিয়ে আমরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে যারা বিভ্রান্ত হয়ে সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদের পথে নেমেছে, তারা এ দেশেরই সন্তান। আমরা চাই না আমাদের দেশের কোনো মানুষ দেশের বাইরে থাকুক। তাই সংঘাতের পথ ছেড়ে শান্তির পথে কেউ আসতে চাইলে তাদের মোস্ট ওয়েলকাম জানাই।’
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ গতকাল বান্দরবান রিজিয়ন পরিদর্শনকালে বান্দরবান রিজিয়ন সদর দপ্তরের সব স্তরের সেনা সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

তিনি গত শনিবার বান্দরবানে পৌঁছেন এবং গতকাল বান্দরবান রিজিয়ন পরিদর্শন শেষে ঢাকায় ফিরে আসেন।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রাম এরিয়ার কমান্ডার, বিজিবি মহাপরিচালক এবং ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার, সেনা সদর ও ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা, বান্দরবান রিজিয়ন সদর দপ্তরের সামরিক কর্মকর্তারা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনা সদস্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধানের এই সফর পার্বত্য চট্টগ্রামের সব স্তরের সেনা সদস্যদের মনোবল সুদৃঢ় করবে এবং নতুন উদ্যমে দায়িত্ব পালনের অনুপ্রেরণা জোগাবে।

সেনাপ্রধান বান্দরবান রিজিয়ন সদর দপ্তরের সব স্তরের সেনা সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমাদের অফিসার ও সৈনিকদের মনোবল দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। তাঁরা বলেছেন, তাঁদের কাছে নিজের জীবনের চেয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বই বড়।


তিনি বলেন, ‘অফিসার ও সৈনিকদের এই মনোবলকে কাজে লাগিয়ে আমরা পাহাড়কে শান্তিপূর্ণ এলাকায় রূপান্তর ঘটিয়ে দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকায় পরিণত করতে চাই।

পাঠকের মতামত

তহবিল কমে যাওয়ায় নতুন সংকটের মুখে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা: জাতিসংঘ

তহবিল কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এখন ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে বলে গত মঙ্গলবার ...

পরিবার নিয়ে বান্দরবান যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেলো এসবি কর্মকর্তার

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাস সড়কের পাশের কালভার্টে ধাক্কা লেগে জাহিদ ইকবাল (৪৬) নামের ...

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সংবাদ সম্মেলন : ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষাসহ নানা দাবি

ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ...

মালদ্বীপের আদলে সাজছে সেন্টমার্টিন, ঢল নামবে দেশি-বিদেশি পর্যটকের

আবদুল আজিজ, কক্সবাজার মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মালদ্বীপের আদলে সাজানো হচ্ছে কক্সবাজারের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র মহাপরিকল্পনার অংশ ...