নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী মঙ্গলবার জামিন শুনানিতে ‘অসুস্থতা’র বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে উপস্থাপনের জন্য আইনজীবীদের বলেছেন খালেদা জিয়া। শুনানিতে তিনি সর্বোচ্চ আদালত থেকেও জামিন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরানো কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার আইনজীবীরা এ কথা জানান। বিকাল ৪টা থেকে বিকাল ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত কারাগারে দেখা করেন তার পাঁচ শীর্ষ আইনজীবী। তারা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজ্জাক খান, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুর রেজ্জাক খান সাংবাদিকদের বলেন, ম্যাডাম বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ। এটা কোর্টকে জানাবেন।’ কারাগারে স্যাঁত স্যাতে পরিবেশে থাকার কারণে দিন দিন তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। মেডিকেল গ্রাউন্ডে জামিন দিয়েছে উচ্চ আদালত- এটা সর্বোচ্চ আদালতে উপস্থাপনের জন্য তিনি বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন আগামী শুনানিতে তার জামিন হবে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, হাইকোর্ট বিস্তারিত শুনানি করে ম্যাডামকে জামিন দিয়েছেন। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে এবং তার ৫০ বছরের ক্রিমিনাল প্র্যাকটিসে পাঁচ বছর সাজার পর হাইকোর্ট বিভাগ যখন জামিন দেয় উচ্চ আদালত সেই জামিন কখনো স্থগিত করেননি। এখানে শুধু স্থগিতই করেননি, এখানে তারা পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য দীর্ঘ সময় দিয়ে তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশে যদি আইনের শাসন বিন্দুমাত্র থাকে তাহলে অবশ্যই ৮ তারিখে খালেদা জিয়া জামিন পাবেন।
অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, আইনজীবী হিসেবে তারা খালেদা জিয়াকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি খুবই অসুস্থ। তার বাম হাত তিনি নাড়াতে পারেন না, শক্ত হয়ে গেছে এবং ঘাড়েও তার সমস্যা আছে। অর্থাৎ এই রকম একটি স্যাঁতসেতে জায়গায় বন্দি থাকা অবস্থায় যেরকম অবস্থা হয় তাই ম্যাডামের হয়েছে। ম্যাডামের বয়সও চিন্তা করতে হবে। তার বয়স ৭৩ বছরের উপরে।
তিনি বলেন, তার যে চিকিৎসা দরকার তা জেলখানায় সম্ভব নয়। ইউনাইটেড হাসপাতালে হওয়া দরকার। একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলায় তিনি আজকে বিনা চিকিৎসায় জেলখানায় কষ্ট পাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকেই নাজিম উদ্দিন রোডের পাশে অবস্থিত পুরনো কারাগারে রাখা হয় তাকে।
পাঠকের মতামত