
নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমার থেকে আসা ১৯ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জরুরি মানবিক সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) ও আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি)। কক্সবাজারে সোমবার থেকে নয়দিন ব্যাপী এই সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার আইসিআরসির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর থেকে বাংলাদেশে আগত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ১৯ হাজার রাখাইন মুসলমানের মধ্যে জরুরী ত্রাণ সহায়তা বিতরণ শুরু হয়েছে। এর আওতায় ৩২০০ রাখাইন মুসলিম পরিবার জরুরী মানবিক সহায়তা পাবেন। গত কাল সোমবার কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হ্নিলা ইউনিয়নের ‘লেদা স্কুল’ এবং দিনের একই সময়ে ‘দরগা সি অ্যান্ড বি’ মাঠে নয়দিনব্যাপী এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। সবচেয়ে দুর্গত মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিডিআরসিএস এবং আইসিআরসি এই মানবিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
স্থানীয় জনপ্রশাসন, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট, রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থা’র প্রতিনিধিবৃন্দদের সার্বিক অংশগ্রহণে প্রাথমিক মাঠভিত্তিক চাহিদা যাচাই, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে চিহ্নিতকরণ এবং সে অনুযায়ী পুনরায় মাঠভিত্তিক যাচাই বাছাই শেষে একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সে অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রতিটি পরিবার এক মাসের জন্য ছয় ধরনের খাদ্য সহায়তা পাবেন; ৫০ কেজি চাল, চার কেজি ডাল, চার লিটার সয়াবিন তেল, চার কেজি চিনি, দুই কেজি লবণ এবং দুই কেজি সুজি। নয়দিনব্যাপী কার্যক্রমের প্রথম দিনে প্রায় ৪০০’র বেশি পরিবার ত্রাণ সহায়তা পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আগত মুসলমানদের জরুরী স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণে বিডিআরসিএস এবং আইসিআরসি যৌথভাবে উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলায় দুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে সহায়তা করে আসছে। এছাড়াও অধিকসংখ্যক রাখাইন মুসলমানের হাতের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পোঁছে দিতে প্রত্যন্ত গ্রামে মোবাইল মেডিক্যাল টিম নিয়োজিত রয়েছে। গত বছর ডিসেম্বর থেকে বিডিআরসিএ্স এবং আইসিআরসির যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে আগত পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখাইন মুসলমানদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন (আরএফএল) কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
পাঠকের মতামত