বিশেষ প্রতিনিধি::
১০ নভেম্বর অনুষ্টিতব্য হৃীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের পদ কিনে নিচ্ছেন স্বরাষ্টমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গড়ফাদার র্যাবের ত্রæয়ফায়ারে নিহত নুর মোহাম্মদদের ছেলে নুরুল আমিন ফাহিম।হৃীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে,এমন কথাও ব্যাপকভাবে প্রচার পাচ্ছে এলাকায়।কারন ইতিমধ্যে ফাহিম কালো টাকায় ম্যানেজ করেছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাসহ টেকনাফ উপজেলায় ছাত্রলীগের সন্মেলনের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এক যুবলীগ নেতাকে।এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।এ ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করলেও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা ম্যানেজ হওয়ার তারা এ ব্যাপারে কিছু বলতে নারাজ স্থানীয় ও থানা সুত্রে জানা গেছে,২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী র্যাবের একটি দল নুরুল আমিন ফাহিমের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তার মা রোহিঙ্গা মিনারা বেগমকে আটক করে।গর্ভধারিনী মায়ের আটক হওয়ার ঘটনায় ফাহিমের নেতৃত্বে দূধর্ষ একদল ইয়াবা ব্যবসায়ী র্যাবের সোর্স সন্দেহে হ্নীলা হাই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী সরুয়ারুল ইসলামকে অপহরণ করে নির্মমভাবে নির্যাতন চালায়।স্থানীয়রা সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সে মারা যায়। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং-উক্ত ৪০/১৪।এ মামলার তদন্ত রির্পোটে তদন্তকারী কর্মকর্তা কবির হোসেন নুরুল আমিন ফাহিমকে একজন চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ী উল্লেখ করে প্রধান আসামী হিসেবে সরোয়ার হত্যার সম্পৃত বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। ফাহিমের তার চাচা স্বরাষ্টমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হুদার বিরুদ্ধে রয়েছে টেকনাফ থানায় ৭-৮ টি মামলা।নুরুল হুদা গত ইউপি নির্বাচনে কালো টাকা ছড়িয়ে মেম্বার নির্বাচিত হলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের ভয়ে এখনো শপথ নিতে পারেননি।সেখানে পুনঃ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে টেকনাফ নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে। এছাড়াও ২০১৪ সালের ২০ মার্চ ইয়াবার চালান খালাসের সময় বিজিবি-র্যাবের সাথে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বন্দুকযুদ্ধে ফহিমের পিতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ নিহত হন। তার পিতা নিহত হলে বড় পুত্র হিসেবে পৈত্রিক ব্যবসার হাল ধরে ফাহিম। ব্যবসার সুবিধার্থে চট্টগ্রামের শীতল ঝর্ণা এলাকায় অবস্থান করে পড়ালেখার নামে পুরোদমে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে সে। গত ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বায়েজিদ থানা পুলিশ তার চট্রগ্রামের বাসায় অভিযান চালায়।এ সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফাহিম কৌশলে পালিয়ে গেলেও তার বাসা থেকে ৩৬ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা লেনদেনের নগদ ৪৮ লাখ টাকাসহ ফাহিমের ছোট বোন সেলিনা আক্তার সেলিসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। স্থানীয় হৃীলা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জাফর আলম বলেন,ফাহিমের পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ত তা এলাকায় সবাই যানে।তার চাচা নুরুল হুদা সহ সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইয়াবা ব্যবসা আড়াল করতেই সে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগৈর আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফাহিমের ব্যাপারে জানতে টেকনাফ থানার ওসি আবদুল মাজেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,ফাহিমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ছাড়াও তার চাচাসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।তারা পরিবারিকভাবেই ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফাহিম বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
পাঠকের মতামত