
ডেস্ক রিপোর্ট
কক্সবাজারের মহেশখালিতে দ্বিতীয় দফায় স্বাভাবিক পথে ফিরছে আরও শতাধিক জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগর। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে তারা। জলদস্যুদের কেউ কেউ জানান, অন্ধকার পথেরভুল বুঝতে পেরেই তারা ফিরছেন আলোর পথে।
আত্মসমর্পণের জন্য সহযোগী ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে আসছে দুর্ধর্ষ আইয়ুব বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ আইয়ুব। মহেশখালির হোয়ানক ইউনিয়নের এই জলদস্যু বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৩০ জনের বেশি। অনেকদিন ধরে মানুষের আতঙ্কের কারণ এই বাহিনীর বেশিরভাগ সদস্যই এখন আত্মসমর্পণের জন্য পুলিশের হেফাজতে।
শুধু আইয়ুব বাহিনীই নয়, এমন আরও সাতটি জলদস্যু বাহিনীর সদস্য ও অস্ত্র তৈরির কারিগররা ফিরে আসছে স্বাভাবিক পথে। সরকার স্বাভাবিক জীবনযাপনে সহায়তা দেবে এমন আশ্বাসে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে মহেশখালি-কুতুবদিয়া-পেকুয়া উপকূল কাঁপানো এসব দস্যুরা।
এখন দস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে বলে স্বস্তি ফিরছে পুলিশেও। বলছে, তারা যাতে আবারও দস্যুতার পথে ফিরে না যায় সেজন্য নেয়া হবে বিশেষ উদ্যোগ।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের বেশির ভাগের কাছেই অস্ত্র রয়েছে। তারা অস্ত্রগুলো জমা দিয়ে তারা অত্মসমর্পণ করবে। পরে তাদের আইনগত সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসনসহ স্বাভাবিক জীবন কাটাতে সব ধরনের সহায়তা দেবে সরকার।
এর আগে গত বছরের ২০ অক্টোবর প্রথমদফায় ৯৪টি অস্ত্র ও সাড়ে ৭ হাজার গোলাবারূদসহ আত্মসমর্পণ করে ছয়টি জলদস্যু বাহিনীর ৪৩ জন।
পাঠকের মতামত