প্রকাশিত: ০১/০৯/২০১৬ ৭:৩৬ এএম

শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও::

কক্সবাজার সদর উপজেলার জালালাবাদে অস্ত্র মামলার ৭ বছর সাজাভোগকারী আসামী শীর্ষ ইয়াবা সম্রাট বেলাল গা ঢাকা দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সে গা ঢাকা দেয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, জালালাবাদ মোহনবিলা এলাকার বহুল আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দীন অস্ত্র মামলায় ৭ বছর সাজা ভোগ করে জামিনে বের হয়ে কক্সবাজার সী-বীচ এলাকায় কটেজে ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত থেকে এ ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে এখন বিপুল টাকার মালিক বনে গেছে। এমনকি সে বেশ কিছুদিন পূর্বে ঐ কটেজ থেকে টেকনাফের এক চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিশাল একটি চালান ছিনতাই করে পালিয়ে এসেছিল। অভিযোগ উঠেছে তার নেতৃত্বে রয়েছে বিশাল একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাচার হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তার বড় ভাই আব্বাছ উদ্দীন অবৈধ পন্থায় আয়কৃত টাকা দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যম ম্যানেজ করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এমনকি এ প্রতিবেদককেও এক প্রকার ম্যানেজের চেষ্টা চালায়। ব্যর্থ হয়ে সে এখন বিভিন্ন জনের কাছে ধরণা দিচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, ইয়াবা জগতের এ নায়ক রহস্যজনক কারণে বরাবরের মতই প্রশাসনের নজরে পড়ছে না। প্রতিদিন শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী বেলালের নেতৃত্বে পাচার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার ইয়াবা। তার নেতৃত্বে রয়েছে বিশাল ইয়াবা সিন্ডিকেট। তার বাহিনীর সাঙ্গপাঙ্গরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা। যার ফলে জালালাবাদে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। বেলাল দীর্ঘদিন যাবত টেকনাফ উখিয়া থেকে সুকৌশলে ঘাতক মরণ নেশা ইয়াবা পাচার করে বৃহত্তর ঈদগাঁওর আনাছে কানাছে বিক্রি করে আসছিল। অল্প দিনের মধ্যে সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যায়। সে শুধু ঈদগাঁও নয়, বৃহত্তর চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ শহরেও তার ইয়াবার চালান প্রতিনিয়ত যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় ইয়াবার রাম রাজত্ব কায়েম করে নির্ভয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এ কার্যক্রম। এক সময়ের বহুল আলোচিত শীর্ষ এ অপরাধী বিভিন্ন মামলায় সাজাভোগ করে সম্প্রতি এলাকায় এসে মরণ নেশা ঘাতক ইয়াবা ব্যবসায় পা বাড়িয়েছে। কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দিয়ে পলাতক থাকলেও পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠে এ ইয়াবা ব্যবসায়ী বেলাল। জালালাবাদে রাম রাজত্ব চালাচ্ছে ইয়াবার। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মাধ্যম ম্যানেজ করে এ কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার কারণে বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে এ ইয়াবা জগতের নায়ক বেলাল। তার অপকর্মের অন্ত না থাকলেও এলাকাবাসী এ ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ সচেতন এলাকাবাসীর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ আগষ্ট রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বর্ণিত ইউনিয়নের মোহনবিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় উক্ত বেলালের বিশাল একটি ইয়াবার চালান ছিনতাই হয়। ঘটনার সময় মোহনবিলা এলাকার মোহাম্মদ কালুর পুত্র শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দীন টেকনাফ থেকে সুকৌশলে জনৈক ২ মহিলার মাধ্যমে উক্ত এলাকায় আনছিল। বিষয়টি টের পেয়ে বেলালের নিকটতম আত্মীয় হাকিম আলীর পুত্র আনোয়ার ও স্থানীয় জনৈক আনোয়ার পূর্ব থেকে উৎপেতে থেকে ঐ ইয়াবাগুলো ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি এলাকাবাসীরা আঁচ করতে পেরে জড়ো হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করলে ইয়াবাগুলো রাস্তায় ছিটকে পড়ে। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নবাগত ইনচার্জ দেবাশীষ সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নতুন যোগ দিয়েছি, উক্ত বেলালের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকাবাসী তাকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। এসব বিষয়ে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হয়। অপর প্রান্ত থেকে তার বড় ভাই আব্বাছ উদ্দীন ০১৮২৩-৯৫০১২২ নাম্বার থেকে এ প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করে ম্যানেজের চেষ্টা চালায়। পরে তার ছোট ভাই বেলাল উদ্দীন ০১৮৬৬-৪৭০৭৯৪ নাম্বার থেকে ফোন করে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে ব্যাখ্যা চায়। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরো হাজার বার লিখেও তার কিছুই হবে না বলে জানান।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...