
ডেস্ক রিপোর্ট::
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হেসেন। এদিকে কথা উঠেছে রোহিঙ্গা আর কতিপয় এনজিও কক্সবাজারবাসির জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক তদারকির অভাব এবং শরণার্থী নিয়ন্ত্রনে অদক্ষতার কারণে রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। আর কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পাসপোর্ট ও এনআইডি তারা পেয়ে যাচ্ছে। এর সাথে মিয়ানমারের কিছু এনজিও ক্যাম্পে কাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে এই এনজিওগুলো মিয়ানমারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করছে। এ কারণে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। হত্যা, ধর্ষণ, মাদক পাচারসহ নানা রকম সামাজিক অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ায় তারা মিয়ানমারে ফিরতে চাচ্ছেনা।
কতিপয় এনজিও ক্যাম্পে অপতৎপরতা চালাচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে না যাওয়ার জন্য উস্কানী দিচ্ছে এমন অভিযোগ রয়েছে আগে থেকেই ।
স্থানীয় কমিউনিটির পক্ষ থেকে এ সমস্ত দেশবিরোধী এনজিওর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি দাবি উঠেছে ক্যাস্পের চারিদিকে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে নির্দিষ্ট ক্যাম্পে তাদের আবদ্ধ রাখার ও ক্যাম্পের মাঝিরা মিয়ানমারের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতে না পারে মত তাদেরকে গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে রাখার।
পাঠকের মতামত