
হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::
ডেঙ্গু রোগের বিষয়ে রোহিঙ্গাদের সচেতন করতে সরকারি বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ৫ নং ক্যাম্পে সেমিনারের আয়োজন করেছেন। গতকাল ৮ আগস্ট বেলা ১১ টায় কুতুপালং ৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে একাধিক প্রতিনিধি এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। আর আর আর সি কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে রোহিঙ্গাদের পাশে থাকা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে। দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে ডেঙ্গু। রোহিঙ্গা ক্যাম্প তার বাইরে নয়। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রভাবকে কমিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সহকারি ক্যাম্প ইনচার্জ শেখ রাসেল তার বক্তব্যে বলেন, ক্লিন ক্যাম্প নিশ্চিত করতে এবং ডেঙ্গু সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৪১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এডিস মশার প্রজনন ও সংক্রমনের বিষয়ে মসজিদসহ ক্যাম্পের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা রোহিঙ্গা জনগণকে সতর্ক ও সচেতন করবে। কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বলেন, ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে অপরিস্কার পরিবেশ ও মশার প্রজনন বৃদ্ধির জন্য। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের সচেতন হতে হবে।বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থা ( ডাবলু এইচ স্বাস্হ্য সমন্বয়ক, ডাক্তার বালবিন্দর সিং বলেন, বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থা তীগ্ন নজরদারি কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশের ঝুঁকি নির্ধারণে সরকারকে সহায়তা করছে। ষোলো বছরের রোহিঙ্গা তরুণী মুহসেনা খাতুন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ডেঙ্গু মশা খুব সকালে এবং সন্ধার আগে কামড়িয়ে থাকে। ভোরে ঘরের ভেতর মশার কয়েল ব্যবহার, হালকা রঙের পোষাক, লম্বা হাতা যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখা, মশারির নিচে ঘুমানো এডিস মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
পাঠকের মতামত