প্রকাশিত: ০১/০২/২০১৭ ৮:৫০ পিএম

সংসদ প্রতিবেদক :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশকারী মিয়ানমারের সকল নাগরিককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অব্যাহত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের ফলে শান্তিপূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক জনমতের ভিত্তিতে প্রত্যাবাসনে সরকার সক্ষম হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নে জবাবে তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা, মিয়ানমার সরকারের মুসলিম বিরোধী অভ্যন্তরীণ নীতিমালা এবং উক্ত অঞ্চলের প্রতিক’ল আর্থসামাজিক সমস্যার কারণে কয়েক দফায় মিয়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠী সীমান্ত পেরিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে।

বর্তমানে ৩৩ হাজারের অধিক রেজিস্টার্ড শরণার্থী বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় জাতিসংঘের উদ্ধাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন পরিচালিত দুটি রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে এবং তিন লাখের অধিক অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিক বিভিন্ন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করেছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের আরো ৬৭ হাজার নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রেবেশ করছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি জাতিসংঘ এবং ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থার সহযোগিতায় মিয়ানমারের সাথে কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা এই দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধানে উপনীত হতে পারব।

আমাদের সরকার পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সমঝোতার ভিত্তিতে মিয়ানমারের সরকারের সাথে সম্ভাবনাময় বহুমুখী সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করার মধ্য দিয়ে এই সমস্যাটির একটি সুষ্ঠ ও স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।’

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সফুরা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বের প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক কর্মকা- এখন বহুমাত্রিক। বিশ্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশের এই অবস্থান আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাভিত্তিক কর্মকা- চলমান রয়েছে।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের কর্মকা-ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনগণের উন্নয়ন ও মঙ্গল। এই লক্ষ্যের সহায়ক শক্তি হিসাবে সরকারের পররাষ্ট্র নীতি ও কূটনৈতিক কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে। এরই আলোকে বর্তমান সরকার বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়নে যে সব পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করেছে, তাতে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক, শান্তিপ্রিয়, প্রগতিশীল এবং দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়েছে। এ লক্ষ্যে আমাদের সমন্বিত কার্যক্রম আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মান, ভাবমূর্তি ও অবস্থান আরো উন্নত ও সুদৃঢ় হবে বলে আমি আশা করি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে পৃথিবীর ৫৮টি দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত আরও ৯৩টি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। অর্থাৎ জাতিসংঘভূক্ত ১৯২টি দেশের মধ্যে ১৫১টি দেশের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত অবশিষ্ট ৪১টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের এখনও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি।

পাঠকের মতামত

চাকরি ছাড়লেন ৬ বিসিএস ক্যাডার

চাকরি ছেড়েছেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া ৬ কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তার বেশিরভাগই শিক্ষা ...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে ইতিবাচক মিয়ানমার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিমসটেক ...

সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির আভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী সপ্তাহজুড়ে সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। সেই সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির ...