প্রকাশিত: ১৯/১১/২০১৬ ৯:১৭ পিএম

শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর::

কক্সবাজার সদরের জালালাবাদে সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের অব্যাহত হুমকিতে দীর্ঘ ১১ বছর ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বয়োবৃদ্ধ শহর মুল্লুক ফকির। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আইনের আশ্রয় ও ন্যায় বিচার পেতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে। ক্ষিপ্ত হয়ে দূবর্ৃৃত্তরা যে কোন মুহুর্তে হত্যা করে লাশ গুমের শংকা প্রকাশ করছে ভূক্তভোগী শহর মুল্লুক ফকির। যে কোন সময়ে হত্যা কিংবা বড় ধরনের ঘটনার আশঙ্কা করে পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছে। উক্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ৭২ ও ৮৭ সালে তাদের স্বজন ও ওয়ারিশগণের তপশীলোক্ত সম্পত্তি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদের নামে ওয়াকফ দলিলমূলে দান করেন। সে সুবাদে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মতোয়াল্লী হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছিল শহর মুল্লুক ফকির। এমতাবস্থায় বর্ণিত ইউনিয়নের পালাকাটা এলাকার ছিদ্দিক আহমদের পুত্র আবদু ছালাম, লরাবাকের মৃত সুলতান আহমদের পুত্র মমতাজুল ইসলাম, জাগির পাড়ার মৃত আবদুল হাকিমের পুত্র ছৈয়দ আলম, পালাকাটার মৃত হাজী কবির আহমদের পুত্র সেলিম উল্লাহ জিহাদী, মোহনবিলা এলাকার মৃত সুলতান আহমদের পুত্র নজির মাষ্টার, গোমাতলী এলাকার মৃত হাজী আমির হামজার পুত্র ফরিদুল আলমসহ সংঘবদ্ধ একদল ভূমিদস্যু ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দলিল কিংবা ওয়াকফ সম্পত্তি না থাকা সত্বেও বিগত ২০০৫ সালে জোট সরকারের সময়ে মতোয়াল্লীভূক্ত তপশীল সম্পত্তি বাইতুর রহমান মসজিদ নাম দিয়ে ইসিভূক্ত করেন। বিষয়টি শহর মুল্লুকের ওয়ারিশগন জানতে পেরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের সাথে প্রতিবাদ করে। তারা এক পর্যায়ে এ ব্যাপারে কোথাও কোন অভিযোগ কিংবা মামলা-মোকদ্দমা করলে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেয়। শুধু হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া নয়, উক্ত দূর্বৃত্তরা উক্ত সম্পত্তি রক্ষিত দোকান পাটের আয়ও লুটপাট করে। এ ব্যাপারে শহর মুল্লুক ফকির বাদী হয়ে ওয়াকফ কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে। যা বর্তমানে তদন্তাধীন বলে জানা যায়। ওয়াকফ কার্যালয়ে অভিযোগ করার বিষয়টিও জানতে পেরে উক্ত প্রভাবশালী মহল প্রতিনিয়ত হুমকি অব্যাহত রেখেছে। সূত্রে জানা যায়, জালালাবাদ তেলিপাড়া গ্রামের ডাক্তার আবদুল জলিলের পুত্র শহর মুল্লুক ফকির (৬২) পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২০ শতক ও তার বাবা মৃত আবদুল জলিলের ১০ শতক মোট ৩০ শতক জমি মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নামে দান করলেও কমিটিতে শহর মুল্লুক ফকিরকে না রেখে ভূঁয়া দলিলের মাধ্যমে ইসিভূক্ত করে অবৈধ কমিটি গঠন করে। ওয়াকফ সম্পত্তির আয় লুটপাট ও জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে। এমনকি মসজিদ ফোরকানিয়া মাদ্রাসাসহ দোকান গৃহ পর্যন্ত দখল করে নিয়ে ২০০৫ সাল থেকে অদ্যবধি অর্ধকোটি টাকার সেলামী ও ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করে ফেলেছে। সকল বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করায় প্রভাবশালী দূবর্ৃৃত্তরা প্রতিনিয়ত শহর মুল্লুক ফকিরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। সে আইনের আশ্রয় নিতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বর্তমান জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে। উপরোক্ত বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। শহর মুল্লুক ফকির জানান, প্রভাবশালী মহলের হুমকিতে দীর্ঘ ১১ বছর ঘরছাড়া হয়ে বিভিন্ন মসজিদে রাত যাপন করে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে দিনাতিপাত করে আসছে। তিনি ন্যায় বিচার ও নিরাপত্তা পেতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার ডিবি পুলিশের এসআই মহসিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও নাম্বারটি আর ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে জানা যায়।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজার সৈকতে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিলো আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী। ১৮ মে থেকে ...

কক্সবাজারে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের অনুমোদনে জেলাবাসীর আনন্দ-উচ্ছ্বাস

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রয় কমিটি। এই খবরে ...