
এম. বেদারুল আলম :
ডেঙ্গু নিয়ে সুখবর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা । বিশেষ করে ঈদের পর থেকেই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রতিদিন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তরা। সরকারের নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রমের কারনে এ উন্নতি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকগণ। গতকাল ১৭ আগষ্ট সকাল ৮ টা পর্যন্ত সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০ জন। গতকালই ১০ জন রোগি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে। তবে মহেশখালী থেকে নতুন করে ২ জন রোগি ভর্তির কথা জানিয়েছেন ডেঙ্গু সেলের চিকিৎসক ডাঃ আবু মোহাম্মদ শামসুদ্দীন। এভাবে প্রতিদিনই ক্রমান্বয়ে কক্সবাজারে কমছে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা যা কক্সবাজারবাসির জন্য স্বস্তির সংবাদ।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মহিউদ্দিন জানান, কক্সবাজারে ডেঙ্গুর উন্নতি হয়েছে। প্রতিদিনই কমছে রোগির সংখ্যা। ঈদের আগে জেলায় ১৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিল তা গতকাল পর্যন্ত কমে ৩০ জনে পৌছেছে। প্রতিদিনই চিকিৎসায় উন্নতি হয়ে হাসপাতাল ছাড়ছে রোগিরা। গতকালও ১০ জন রোগি হাসপাতাল ছেড়েছে। তবে মহেশখালী থেকে নতুন করে ২ জন রোগি ভর্তি হয়েছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা আসায় আক্রান্ত রোগির সংখ্যা কমছে বলে মনে করেন তিনি।
সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু সেলের চিকিৎসক ডাঃ শামসুদ্দিন বলেন গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা ১৪০ থেকে কমে ৩০ জন । শহরের নুনিয়াছড়া এবং মহেশখালীতে ডেঙ্গুর প্রাদূর্ভাব বেশি যার কারনে সেখান থেকে বেশি ডেঙ্গু রোগি ভর্তি আছে। জ্বর হলেই পরীক্ষা করে ডেঙ্গু সনাক্ত করা হচ্ছে ফলে আতংকিত না হয়ে ধ্যৈর্য ধরার কথা জানান তিনি।
তত্বাবধায়ক ডাঃ মহিউদ্দিন জানান-কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগির জন্য হেল্প ডেক্স খোলা আছে , আলাদা করে ডেঙ্গু কর্নার করা হয়েছে যাতে কোন রোগি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসলে তাকে ভর্তি দিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়। কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগের যে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট অর্থাৎ ডেঙ্গু সনাক্তকরণ পরীক্ষা (এনএস-১) এখন সদরে পর্যাপ্ত রয়েছে । ডেঙ্গু সেলের টিমে কাজ করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। তারা হলেন-ডাঃ কবির আহমেদ, ডাঃ আবু মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, ডাঃ শ্হাজাহান এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নোবেল কুমার বড়ুয়া। এছাড়া জরুরি বিভাগ থেকে প্রয়োজনে ১ জন চিকিৎসক টিমের সাথে সমন্বয় করেন বলে ও জানান তিনি।
কক্সবাজারে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগি কমার পেছনে সরকারের সাম্প্রতিক কার্যক্রম বিশেষ করে সচেতনতা বৃদ্ধির কথাই বলছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলের সচেতনতা বিশেষ করে ফুলের টব, পরিবেশের চারপাশে জমে থাকা ময়লা আর্বজনা, যে সব স্থানে মশা জন্মায় সে সব জায়গা, বাড়ির আশপাশ পরিস্কার এবং দিনে রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন চিকিৎসকরা।
পাঠকের মতামত