প্রকাশিত: ২৯/০৫/২০১৭ ৬:০০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:২৪ পিএম

ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার থেকে::
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া সব ধরনের নৌযান কূলে ফিরতে শুরু করেছে।
সোমবার সকালে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’-এ পরিণত হওয়ায় চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার উপকূলে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকালে সবাইকে সর্তক থাকার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে টেকনাফ উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে। মাইকিংয়ে সাগরে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ও মাছ ধরতে যাওয়া সব ধরনের নৌযানকে কূলে ফিরতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলের লোকজনকে স্ব-স্ব আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, বিশেষ করে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম মাথায় বেড়িবাঁধ না থাকায় ওই দ্বীপের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এ বাধেঁর জন্য একনেকে ১০৬ কোটি বরাদ্দ হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। ফলে গত ৫ বছর ধরে ওই এলাকার জনগোষ্ঠী মানবেতার জীবনযাপন করছে।
টেকনাফ-সের্ন্টমাটিন রুটের সার্ভিস বোটের সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, এ রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দ্বীপে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যেতে পারেনি অনেক ব্যবসায় ইউনাইটেড ল্যান্ডপোর্ট টেকনাফ বন্দরের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জমিস উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিপদ সংকেত থাকায় সকাল থেকে বন্দরের মালামাল উঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর কক্সবাজার স্টেশনের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতের পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর।টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, বঙ্গোপসাগরে যেসব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার রয়েছে-সেসব কূলে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং উপকূলের লোকজনকে সর্তক এবং আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলা সব আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সর্তক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত