প্রকাশিত: ১১/০৩/২০২০ ৮:৫২ পিএম , আপডেট: ১১/০৩/২০২০ ৮:৫৩ পিএম

এগারো লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আর দেশি-বিদেশি পর্যটকের সমাগম কক্সবাজারে। তাই সেখানে করোনার ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতির কথা বলছে প্রশাসন। এজন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখা হয়েছে বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, পর্যটনস্পট এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। রামু ও চকরিয়ায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে, একশো শয্যার আইসোলেশন ইউনিট।

দেশের পর্যটন রাজধানী হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার। যেখানে প্রতিদিন মুখর থাকে হাজারও পর্যটকে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কারণে যাতায়াত করছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও।

উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এখন বসবাস করছে এগারো লাখের বেশী মানুষ। সবমিলে ঘনবসতিপূর্ণ জায়গা বলে ক্যাম্প ঘিরে করোনাভাইরাস নিয়ে আছে উদ্বেগ।

এসিএফ এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ মাহাদী বলেন, জনবহুল মানুষ হবার কারণে ক্যাম্পের মানুষদের পরিচ্ছনতা, শিষ্ঠাচার জিনিসটা কম। তাই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি যেন ক্যাম্পের মানুষরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকটা ভালভাবে খেয়াল রাখে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মহিউদ্দীন মো. আলমগীর বলেন, সর্দী-কাশি হতেই পারে, এতে ভয় পাবার কিছু নেই। আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের হটলাইন নাম্বর দেওয়া আছে সেখানে যোগাযোগ করতে হবে।

তবে প্রশাসন বলছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পর্যটক ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। স্ক্যানার দিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর ও টেকনাফ স্থলবন্দরে চলছে পর্যবেক্ষণ।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ক্যাম্পগুলোতে যেন আরও সচেতনতা বাড়ানো যায় সেজন্য ওখানে কর্মরত এনজিওদের সাথে আমাদের একটা সভা রয়েছে। সেখানে আমরা বিস্তারিত কথা বলবো।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যেখানে যেখানে দরকার আমাদের টিম স্ক্রিনিং করছে, এরপরে আমরা যদি মনে করি যে তাদের কিছু দরকার হলে আমরা সেই অনুযায়ী পরামর্শ দিচ্ছি।

কেউ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে একশো শয্যার আইসোলেশন সেন্টার। এছাড়া খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

পাঠকের মতামত

ডালিম বড়ুয়া ও তার স্ত্রী তান্নি বড়ুয়া’র বিরুদ্ধে ঘুমধুমের অসহায় পরিবার’কে হয়রানি’র অভিযোগ

বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ঘুমধুমে বিএনপি, জামায়াত সহ অনেক নিরীহ পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানির অহরহ ...