![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/2016/12/Pic-Pekua-30-12-16-1.jpg)
টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি মৌলভী পাড়া এলাকার আয়েশা ছিদ্দিকা(২২)। ২০১১ সালে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী এলাকার জাফর আহমদের পুত্র সরওয়ার উদ্দিনের সাথে। কিছুদিন সুখে শান্তিতে সংসার চললেও যৌতুক লোভী স্বামীর অত্যচারে জর্জরিত হয়ে ওঠে তার জীবন। এরই মধ্যে তার স্বামী বেশ কয়েকবার পিতার বাড়িতে তাকে পাঠিয়ে দিলেও স্থানীয় শালিষকারেরা মিমাংসার নাম করে শশুরালয়ে ফেরত পাঠায়। কিন্তু সে শাশুর বাড়িতে ফিরে আসলেও সুখ ফেরত আসেনি তার জীবনে। বরং যৌতক লোভী স্বামী তার উপর অত্যচারের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়।
বিয়ের প্রায় চার বছর পরে তাদের কোল জুড়ে আসে শিশু সন্তান আরজিনা সোলতানা। এদিকে স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে নিস্তার না পাওয়ায় পিতার বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেয় আয়েশা। পিতার সহয়তায় দারস্থ হয় আদালতের। স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা করে সে। যার মামলা নং ১৩৯১/১৬ইং। আদালত সরওয়ার এর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী করলেও পলাতক থাকায় তাকে আইনের আওতায় আনা যায়নি। এর মধ্যে সে গোপনে দেশ ত্যাগের চেষ্টা চালায়। পরিশেষে গত ২৭ডিসেম্বর মঙ্গলবার দেশ ত্যাগ করতে সফলও হয় সে। কিন্তু সে দেশ ত্যাগের আগের দিন ২৬ ডিসেম্বর সোমবার আয়েশা ছিদ্দিকার পিতার বাড়িতে অর্তকিতভাবে গিয়ে ১৪মাস বয়সি শিশু আরজিনা ছিদ্দিকাকে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। সেই থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত কোন হদিস মিলেনি ওই শিশুর। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজেও তাকে না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দারস্থ হয় দিশেহারা মা। এব্যাপারে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং এম আর ১০৬/১৬ইং। এদিকে আদালত শিশুটিকে খোঁজে বের করতে চার্জ ওয়ারেন্ট জারী করে। সর্বশেষ পেকুয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম ওই স্বামীর পিতা জাফর আহমদসহ তার আত্বীয় স্বজনের বাড়িতে তল¬াশি চালিয়েও শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি।
আয়েশা ছিদ্দিকা জানায়, ১৪মাসের ছোট শিশুকে খোঁজে ফেতে আমি দিশেহারা। এদিকে শিশুটিকে ফেরত দিবে বলে ১লাখ টাকা দাবী করেছে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এখন আমি শিশুকে খোঁজে না ফেলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নাই।
এব্যাপারে বারবাকিয়া ইউপি সদস্য এনামুল হক জানান, শিশুটি সরওয়ারের পিতার পরিবারের কাছেই রয়েছে। এবিষয়ে থানায় বৈঠকের আয়োজন করলেও তারা উপস্থিত হয়নি।
পাঠকের মতামত