
‘তিন বার সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছি। আবার দুর্নীতি মামলায় তিন বছর সাজাও হয়েছিল আমার। এরপর থেকে কর দিতে ভয় পাই।’ একথা বলেছেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি।
শনিবার চট্রগ্রাম কর অঞ্চল-৪ এর উদ্যোগে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত আয়কর মেলার আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নিজেকে একজন ‘সৎ ব্যবসায়ী’ দাবি করে বদি বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কোনো সম্পদ তিনি অর্জন করেননি।
বদি বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমি সততার সঙ্গে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করি। সৎভাবে করও দিয়েছি। কিন্তু হয়রানির ভয়ে অনেক মানুষ আয়কর দিতে ভয় পায়। অনেকে মনে করেন আয়কর দিতে গেলে ঝমেলা হয়। তবু সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যেই টেকনাফের শত শত মানুষ কর দিতে বদ্ধপরিকর।
প্রসঙ্গত, সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর ঢাকার জজ আদালত বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং দশ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
বদি আরও বলেন, ‘আমরা একটা জয়গায় কলঙ্কের মধ্যে রয়েছি, ইয়াবা নিয়ে। ইয়াবার বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করতে গেলেই কিছু খারাপ মিডিয়া ও কিছু খারাপ সরকারি কর্মকর্তা আমাকে ইয়াবার সঙ্গে জড়িয়ে অপপ্রচার চালায়। অথচ তারা নিজেরাই ইয়াবার সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার বদি বলেন, সোনার বাংলা গড়তে, করের কোন বিকল্প নেই। কর দিতে এসে কাউকে যাতে হয়রানির স্বীকার না হতে হয়, সেদিকে নজর রাখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিক মিয়া কর কর্মকর্তাদের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তাদের কাছে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন।
এতে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম কর অঞ্চল ৪-এর কর কমিশনার ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, এসিল্যান্ড আবুল মনসুর। অতিরিক্ত কর কমিশনার মুহাম্মদ মফিজ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে দেন টেকনাফের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার রাজীব রানা মল্লিক। ‘উন্নয়নের শীর্ষে যাব, যথাযথ আয়কর দিব’ শ্নোগানকে সামনে রেখে এ মেলা আয়োজিত হচ্ছে। সমকাল
পাঠকের মতামত