প্রকাশিত: ২২/০৮/২০১৭ ৯:৪৯ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:৪৩ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
উখিয়ার বালুখালীতে ভুয়া কাস্টম কর্মকর্তা পরিচয়ে ছিনিয়ে নেয়া প্রায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার আত্মসাত ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। অবৈধ শ্রমিক, অথচ সরকারী অফিসের চেয়ারে বসে এ ধরণের অন্যায় কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ভুয়া কাস্টমস কর্মকর্তাদ্বয় স্বর্ণ সহ মিয়ানমারের দুই নাগরিককে ছাড়িয়ে দিতে আদায় করেছে নগদ ৪ লক্ষ টাকা। পুলিশ ও স্থানীয় কতিপয় নেতাকে ম্যানেজ করতে ইতোমধ্যে ৬ লক্ষ টাকা বিলি-বণ্টনও করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে দুই ভুয়া কাস্টম কর্মকর্তা আবুল হোসেন প্রকাশ আবুল্যা ও তার সহকারী আবদুল হালিম ওরফে দুদুমিয়া প্রকাশ দুইদ্যা। তারা দু’জনই বালুখালী কাস্টমস চেকপোস্টে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে শ্রমিক ও পিয়ন হিসেবে কর্মরত রয়েছে।

এদিকে অভিযোগ পেয়ে উখিয়া থানা থানা এবং ঘুমধূম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পৃথকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। উখিয়ারঘাট এলাকার মাহবুব আলীর পুত্র জসিম ও ভুয়া সিপাহি রোহিঙ্গা আনসারুল্লাহকে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ধরে নিয়ে যায়। তারা সেখানের অকপটে স্বর্ণ লুট ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তবে তাদের কাছে লুণ্ঠিত স্বর্ণ নেই দাবী করে ওসব (স্বর্ণ) মৃত ছৈদ নুরের পুত্র আবুল হোসেন ও বাদশা মিয়ার পুত্র আবদুল হালিম প্রকাশ দুইদ্যার হাতে রয়েছে বলে জানায় পুলিশকে। পরে ভুয়া কাস্টম কর্মকর্তাদ্বয় দেড় লাখ টাকা পাঠিয়ে আটকদের ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। উখিয়া থানা পুলিশ নুরুদ্দিন ও আবদুর রহমান সহ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এ পর্যন্তও ছিনতাইকারী ভুয়া কাস্টম দুইদ্যা ও আবুল্যাকে আটক করতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রশাসনের লোকজন তদন্তে আসলে আমরা ওইসময় চোখে যা দেখেছি, তা স্পষ্ট ভাবে বলতে প্রস্তুত আছি।

সূত্র জানায়, বালুখালী এলাকায় বসবাসকারী মৌলবি রুহুল আমিনের ভাগিনা মিয়ানমারের রাইমন খালীর জুবাইর নামে এক যুবক মুঠোফোনে তার মামাত বোনের জামাই আনসারুল্লাহকে ৭টি স্বর্ণের বার (৭০ভরি) পাচারের খবর দেয়। পুরনো রোহিঙ্গা আনসারুল্লাহ কাষ্টমে অবৈধভাবে কর্মরত আবুল হোসেন ও দুদু মিয়া প্রকাশ দুইদ্যাকে জানায়। তারা কাস্টমস কার্যালয়ে অদূরে আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। বিকেলে টমটম বাইকযোগে আসে মংডুর আবদু ছত্তার ও রাইমন খালীর আবদুল হামিদ নামে দুই যুবক। তাদের প্রথমে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় কাস্টমস কার্যালয়ে। সেখানে কাস্টমস কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে ভুয়া কাস্টমস কর্মকর্তা আবুল হোসেন দায়িত্বরত অফিসারের চেয়ারে বসে মিয়ানমারের ওই দু’যুবককে হাত বেধে ফেলার জন্য তার সহযোগি দুউদ্যা ও আনসারুল্লাহকে নির্দেশ দেয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশির পর উদ্ধার করে ৭টি স্বর্ণের বার। কেউ বুঝে উঠার আগেই আটক দুই যুবককে দুইদ্যার ঘরে নিয়ে আটকে রাখা হয়। রাতে স্বজনরা ৪লাখ টাকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনা যাতে কেউ আঁচ করতে না পারে, এ জন্য ৫’শ পিস ইয়াবা জমা করেছে কাস্টমস এসআই ইমাম হোসেনের কাছে।

উল্লেখ্য দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের সুবাদে উখিয়ারঘাট কাস্টমস কর্মকর্তা তার অফিসের গুদামের চাবি অবৈধ পিয়ন আবুল হোসেনের কাছে রেখে যান। আবুল হোসেন ওই অফিসে রাত্রি যাপন করে থাকে। ওইদিন উপস্থিত ছিলেন না দাবী করে এ ব্যাপারে উখিয়ারঘাট কাস্টমস কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ঘটনা শুনে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। লুণ্ঠিত স্বর্ণ শুল্কগুদামে জমা হয়নি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এসআই ইমাম হোসেনের হাতে ৫’শ পিস ইয়াবা জমা দিয়েছে আবুল হোসেন ও দুদু মিয়া। মিয়ানমারের দুই লোকের কাছ থেকে স্বর্ণ লুট ঘটনার বিষয়ে লোকেমুখে শুনেছি দাবী করে উখিয়া থানার ওসি মো: আবুল খায়ের জনকণ্ঠকে বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনানূগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ উখিয়ার বালুখালীতে ভুয়া কাস্টম কর্মকর্তা পরিচয়ে ছিনিয়ে নেয়া প্রায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার আত্মসাত ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। অবৈধ শ্রমিক, অথচ সরকারী অফিসের চেয়ারে বসে এ ধরণের অন্যায় কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ভুয়া কাস্টমস কর্মকর্তাদ্বয় স্বর্ণ সহ মিয়ানমারের দুই নাগরিককে ছাড়িয়ে দিতে আদায় করেছে নগদ ৪ লক্ষ টাকা। পুলিশ ও স্থানীয় কতিপয় নেতাকে ম্যানেজ করতে ইতোমধ্যে ৬ লক্ষ টাকা বিলি-বণ্টনও করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে দুই ভুয়া কাস্টম কর্মকর্তা আবুল হোসেন প্রকাশ আবুল্যা ও তার সহকারী আবদুল হালিম ওরফে দুদুমিয়া প্রকাশ দুইদ্যা। তারা দু’জনই বালুখালী কাস্টমস চেকপোস্টে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে শ্রমিক ও পিয়ন হিসেবে কর্মরত রয়েছে।

এদিকে অভিযোগ পেয়ে উখিয়া থানা থানা এবং ঘুমধূম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পৃথকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। উখিয়ারঘাট এলাকার মাহবুব আলীর পুত্র জসিম ও ভুয়া সিপাহি রোহিঙ্গা আনসারুল্লাহকে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ধরে নিয়ে যায়। তারা সেখানের অকপটে স্বর্ণ লুট ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তবে তাদের কাছে লুণ্ঠিত স্বর্ণ নেই দাবী করে ওসব (স্বর্ণ) মৃত ছৈদ নুরের পুত্র আবুল হোসেন ও বাদশা মিয়ার পুত্র আবদুল হালিম প্রকাশ দুইদ্যার হাতে রয়েছে বলে জানায় পুলিশকে। পরে ভুয়া কাস্টম কর্মকর্তাদ্বয় দেড় লাখ টাকা পাঠিয়ে আটকদের ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। উখিয়া থানা পুলিশ নুরুদ্দিন ও আবদুর রহমান সহ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এ পর্যন্তও ছিনতাইকারী ভুয়া কাস্টম দুইদ্যা ও আবুল্যাকে আটক করতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রশাসনের লোকজন তদন্তে আসলে আমরা ওইসময় চোখে যা দেখেছি, তা স্পষ্ট ভাবে বলতে প্রস্তুত আছি।

সূত্র জানায়, বালুখালী এলাকায় বসবাসকারী মৌলবি রুহুল আমিনের ভাগিনা মিয়ানমারের রাইমন খালীর জুবাইর নামে এক যুবক মুঠোফোনে তার মামাত বোনের জামাই আনসারুল্লাহকে ৭টি স্বর্ণের বার (৭০ভরি) পাচারের খবর দেয়। পুরনো রোহিঙ্গা আনসারুল্লাহ কাষ্টমে অবৈধভাবে কর্মরত আবুল হোসেন ও দুদু মিয়া প্রকাশ দুইদ্যাকে জানায়। তারা কাস্টমস কার্যালয়ে অদূরে আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। বিকেলে টমটম বাইকযোগে আসে মংডুর আবদু ছত্তার ও রাইমন খালীর আবদুল হামিদ নামে দুই যুবক। তাদের প্রথমে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় কাস্টমস কার্যালয়ে। সেখানে কাস্টমস কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে ভুয়া কাস্টমস কর্মকর্তা আবুল হোসেন দায়িত্বরত অফিসারের চেয়ারে বসে মিয়ানমারের ওই দু’যুবককে হাত বেধে ফেলার জন্য তার সহযোগি দুউদ্যা ও আনসারুল্লাহকে নির্দেশ দেয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশির পর উদ্ধার করে ৭টি স্বর্ণের বার। কেউ বুঝে উঠার আগেই আটক দুই যুবককে দুইদ্যার ঘরে নিয়ে আটকে রাখা হয়। রাতে স্বজনরা ৪লাখ টাকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনা যাতে কেউ আঁচ করতে না পারে, এ জন্য ৫’শ পিস ইয়াবা জমা করেছে কাস্টমস এসআই ইমাম হোসেনের কাছে।

উল্লেখ্য দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের সুবাদে উখিয়ারঘাট কাস্টমস কর্মকর্তা তার অফিসের গুদামের চাবি অবৈধ পিয়ন আবুল হোসেনের কাছে রেখে যান। আবুল হোসেন ওই অফিসে রাত্রি যাপন করে থাকে। ওইদিন উপস্থিত ছিলেন না দাবী করে এ ব্যাপারে উখিয়ারঘাট কাস্টমস কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ঘটনা শুনে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। লুণ্ঠিত স্বর্ণ শুল্কগুদামে জমা হয়নি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এসআই ইমাম হোসেনের হাতে ৫’শ পিস ইয়াবা জমা দিয়েছে আবুল হোসেন ও দুদু মিয়া। মিয়ানমারের দুই লোকের কাছ থেকে স্বর্ণ লুট ঘটনার বিষয়ে লোকেমুখে শুনেছি দাবী করে উখিয়া থানার ওসি মো: আবুল খায়ের জনকণ্ঠকে বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনানূগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুত্র: জনকন্ঠ

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...