প্রকাশিত: ১১/০৯/২০১৬ ৮:০০ এএম

1473512717-1-500x360উখিয়া নিউজ ডেস্ক :

গাজীপুরে এক দম্পতিসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১ এর সদস্যরা। এসময় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ প্রায় সাত লাখ ২১ হাজার টাকা ও গহনা উদ্বার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার বালুখালী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জাফর আলম ওরফে ইকবাল (৩৭) ও তার স্ত্রী লাকী আক্তার (২৭), শরিয়তপুর জেলার ডামুড়া থানার ছোট সিধলপোড়া গ্রামের মৃত আজিজ ভূইয়ার ছেলে মোঃ নানু ভূইয়া(৩৭) এবং গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার খৈলকড়া গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে রিপন মোল্লা (৩০)।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে শুক্রবার মধ্য রাতে টঙ্গী এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় টঙ্গী মোক্তার বাড়ী রোডস্থ জনৈক রিয়াজুল ইসলামের বাড়ি থেকে জাফর ও তার স্ত্রীকে ২২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৮৯ হাজার টাকা সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে।

পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর মাদক ব্যবসায়ী নান্নুকে একহাজার ২শ’ ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ দুই লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ টঙ্গীর কলেজ গেইট এলাকা হতে হাতে-নাতে গ্রেফতার করে। এছাড়াও ওই দম্পতির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার উত্তরা ১১ নং সেক্টরের ১২নং বাড়ি হতে অপর মাদক ব্যবসায়ী রিপন মোল্লাকে ৭শ’ ৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ তিন লাখ ৬২ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত জাফর লবণ ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে ওই এলাকায় গত ১/২ বছর যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত এক বছর আগে তার চার সন্তান ও স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীক স্বার্থে সে লাকী আক্তার’কে বিয়ে করে এবং তাকে দিয়ে টঙ্গী এলাকায় দুটি বাসা ভাড়া নেয়।

একটি বাসায় সে নিজে থাকে আরেকটিতে তার ড্রাইভার থাকার নাম করে ইয়াবা মজুদ রাখে। জাফর সীমান্তবর্তী কক্সবাজার হতে নিয়মিতভাবে তারা ইয়াবার বড় বড় চালান আনে এবং তাদের এ ব্যবসার সাথে জনি ও তার বোন সোমা, উভয় পিতা-আনোয়ার ডাকাত নামে আরও দুই জন ইয়াবা ব্যবসায়ী জড়িত। জাফরের ভাষ্যমতে সে, জনি ও সোমা এই তিনজন মিলে ব্যবসা করে আসছিল।

পলাতক মাদক ব্যবসায়ী জনি ও সোমা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। জনির মা জমিলাও গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। বহু মাদক মামলার আসামী জনি ও সোমা টঙ্গী ও এর আশেপাশের বাসায় নিয়মিত অবস্থান বদল করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

এক্ষেত্রে জাফরের কাজ কক্সবাজার থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট আনা ও বাসায় মজুদ করা, আর জনি ও সোমা এগুলো স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে।

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত নান্নু ভূঁইয়া গত এক থেকে দেড় বছর যাবৎ জাফরের কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে উত্তরা, কামারপাড়া ও এর আশেপাশের এলাকায় পাইকারীভাবে বিক্রি করে আসছে। অপর দিকে রিপন মোল্লা দীর্ঘ দিন যাবৎ কালীগঞ্জ ও এর পাশ্ববর্তী নংরসিংদী এবং ঘোড়শাল এলাকায় পাইকারীভাবে ইয়াবা বিক্রি করে আসছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে র‌্যাব সূত্র জানিয়েছে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...