প্রকাশিত: ১৪/০৪/২০১৭ ৯:১৮ পিএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: :

উখিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম বাণিজ্যিক স্টেশন কোটবাজার তথা বৃহত্তর পালং এলাকা দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠলেও উপজেলার বেশির ভাগ রাজনৈতিক জন প্রতিনিধি ও উচ্চ শিক্ষিত এবং শিক্ষিত- শিক্ষানুরাগী তরুণ প্রতিভাবান ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বাস্তবায়ন ও প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে “পালং কলেজ”। এ উপলক্ষ্যে গতকাল বুধবার ১৩ এপ্রিল বিকাল ৪ টায় রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেলন কক্ষে কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও পালং কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মাহমুদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন। উক্ত সভা সঞ্চালন করেন রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পালং কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম চৌধুরী।

এ সময় উপজেলার বৃহত্তর তিনটি ইউনিয়ন রতœাপালং, হলদিয়াপালং ও জালিয়াপালং ইউনিয়নের সমন্বয়ে বিশাল অঞ্চল জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে কেউ একটি কলেজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে এখানকার দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি আলোকিত সমাজ প্রতিষ্টার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এসব অনুন্নত শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া অঞ্চল হিসেবে এ অঞ্চলে সার্বিক প্রয়োজনীয়তায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে তা যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গৌরবের-৭০ বছর পুর্তি অনুষ্ঠানের সাথে জড়িতদের সহযোগীতায় পালং কলেজ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কলেজের যাত্রা আরম্ভ করার ব্যাপক প্রস্তুতি ইতিমধ্যে হাতে নিয়েছি। সভায় কলেজের নাম করণের বিষয়ে পালং কলেজ নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা হবে। তাছাড়াও কলেজের জন্য প্রাথমিক ভাবে সম্ভাব্য ৪টি স্থান নির্ধারণ করা হয়। স্থানগুলো যথাক্রমে হলদিয়াপালং এর চৌধুরী পাড়া, সাবেক রুমখা, জালিয়াপালং পাইন্যাশিয়া ও রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকা। পরবর্তিতে কালেজ বাস্তবায়ন পরিষদ কর্তৃক গঠিত সার্চ কমিটি যাচাই বাছাই করে রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকাটিকে মনোরম পরিবেশ ও কলেজের জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে চুড়ান্ত রির্পোট প্রদান করেন। এর ভিত্তিতে গতকাল বুধবার কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এদিকে পালং কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেরা উদ্যেগী হয়ে এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী প্রবীণ আইনজীবী এড. মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম ১ একর, আলহাজ্ব মাহমুদুল হক চৌধুরী ৪০ শতক,ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী ৪০ শতক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোলতান মাহমুদ চৌধুরী ৪০ শতক, মোক্তার চৌধুরী ২০ শতক, এস এম কামাল উদ্দিন ২০ শতক জমি কলেজের নামে দান করে দাতা হন। এ সময় উপস্থিত কলেজ বাস্তবায়ন পরিষদের অনেক সদস্য কলেজের নামে ও এলাকার মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ আর্থিক অন্তত ২০ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের সদস্য আশরাফ জাহান চৌধুরী, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের অধ্যক্ষ শাহ আলম, জালিযাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুী, ছাবের আহমদ কন্ট্রক্টর,রফিক উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাপক মোহাম্মদ আলী, মাস্টার কালাল উদ্দীন, ডা. মোক্তার আহমদ, হাসান জামাল রাজু, নুরুল হুদা, এড. মানিক, নুরুল আলম, জসিম আজাদ, মোঃ ফারুক প্রমুখ।

উল্লেখ্য আগামী ২১ এপ্রিল পালং কলেজের নির্ধারিত স্থানে আনুষ্ঠানিক ভাবে কলেজের সাইনবোর্ড উঠানো হবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...