প্রকাশিত: ২৫/০৬/২০১৬ ৯:৩২ পিএম

নুরুল আমিন হেলালী

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কেনাকাটা জমে উঠেছে বিপণী বিতানগুলোতে। এই সুযোগে আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে ছিনতাইকারী ও রোমিওদের উৎপাত। সরেজমিনে গতকাল পর্যটন শহরের সব ধরণের শপিং মল এবং মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের এক ধরণের ব্যস্ততা। তবে ক্রেতারা আতংকিত শপিং মলগুলোর সামনে উৎপেতে থাকা ছিনতাইকারী ও বকে যাওয়া রোমিওদের পদচারণায়। বিশ্ব^স্ত সুত্রে জানা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরের শপিং মলগুলোতে পছন্দের কেনাকাটা করতে আসা তরুণীদের বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করছে ভবঘুরে বিপদগামী কিছু উশৃঙ্খল যুবক। পোকখালী থেকে পরিবারের সাথে কেনাকাটা করতে আসা কলেজ ছাত্রী নাহিদা জানায়, তারা পছন্দের কাপড় কিনতে এসেছিল শহরের এ ছালাম মার্কেটে। মার্কেটের সামনে থেকে কয়েক যুবক তাকে অনুসরণ করে পিছু নেয়। যেই দোকানেই যাচ্ছে সেখানেই তারা গিয়ে হাজির । এক সময় নির্লজ্জের মতো অপরিচিত এক যুবক সামনে গিয়ে তাকে কিছু বলার চেষ্টা করছিল। এতে তারা বিব্রতবোধ করে তাড়াতাড়ি মার্কেট ত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হয় খালি হাতে। এ রকম অসংখ্য ইভটিজিংয়ের অভিযোগ বিভিন্ন মার্কেটের সামনে মোটর সাইকেল পার্কিং করে বসে থাকা এ সব উশৃঙ্খল রোমিওদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে, পরিবারের বিপদগামী বকে যাওয়া কিছু বখাটে যুবক লাইসেন্সবিহীন দামি মোটর সাইকেল হাকিয়ে পিছু নিচ্ছে কেনাকাটা করতে আসা যুবতী, স্কুল-কলেজছাত্রী থেকে শুরু করে সুন্দরী মহিলাদের পেছনেও। অনেক সময় অপরিচিত মহিলা দেখলেই তারা ছুড়ে দিচ্ছে বিভিন্ন ধরণের অশালীন বাক্য। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে মার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়ে ওই রকম বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছেন বলে অভিযোগ অনেকের। এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ বাজারে কেনাকাটার ব্যস্ততায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। সুযোগ বুঝেই তারা গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল লোকজনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, মোবাইল সেট, ভ্যানিটি ব্যাগ সহ স্বর্ণালংকারও। ২৪ জুন ফজল মার্কেটের সামনে কিছুলোক ঘিরে ধরেছিলেন ২৩ বছর বয়সী এক যুবককে। জানতে চাইলে এক মহিলা জানান, টমটমে একসাথে আসার সুযোগে ওই যুবক হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্ঠা করলে সাথে সাথে তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। অন্যদিকে বাস টার্মিনাল এলাকায় অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সুযোগ বুঝেই যাত্রি বেশে গাড়িতে উঠে ফায়দা হাসিল করে মাঝ পথে নেমে পড়ছে। শুধু শহর নই কক্সবাজারের প্রতিটি উপজেলায় ঈদবাজারে বাবা-মার বকে যাওয়া যুবক ও ছিনতাইকারীর উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ক্রেতা-বিক্রেতা। এছাড়া ২৪ জুন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজনের ব্যাগ চুরির অপরাধে ওই হাসপাতালের এক প্রহরীকে ধরে পুলিশে দিয়েছে জনতা। ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের জানমাল ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে ঐ সমস্ত বখাটে ও ছিনতাইকারীদের প্রতি নজরদারি জোরদার করার দাবী সচেতন মহলের।

পাঠকের মতামত

খেলাভিত্তিক শিক্ষায় ব্র্যাকের তথ্য বিনিময় অনুষ্ঠান

শিশুদের খেলাভিত্তিক শেখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও মনোসামাজিক বিকাশ নিশ্চিতে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ...

১২ ফেব্রুয়ারি ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ধর্মীয় প্রচার কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ...