মিয়ানমারের ভূখন্ডে অবস্থিত নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবার ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আজ দেশটির প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মাদকদ্রব্যের পাচার প্রতিরোধের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় ভারত মহাসাগরীর অঞ্চলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কোন ধরনের মাদক উৎপাদিত না হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবেশি দেশ থেকে আন্তঃসীমান্ত মাদক পাচারের কারণে দেশটির জনগণকে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, মাদক পাচারকারিরা মায়ানমার সংলগ্ন কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুর্গম সীমান্ত পথে বাংলাদেশে ‘ইয়াবা’ পাচার করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক পাচার ও এর ব্যবহারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার জাতিসংঘ কনভেনশন এবং সার্ক ও বিমসটেক-এর কনভেনশনের আলোকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতবদ্ধ।’
তিনি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে মাদকদ্রব্যের পাচার ও অবব্যবহার বন্ধ করতে ভারত মহাসাগরীর অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান।
জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তরের সহযোগিতায় শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় এ বৈঠকে ইরান, বাংলাদেশ, কমোরোস, ভারত, মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক, সিসেলিস ও তানজানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেন। এছাড়াও পাকিস্তান, কাতার ও মৌরিতাসের মাদকদ্রব্য ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোও এ সভায় অংশগ্রহণ করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, কোস্ট গার্ডের এ্যাডমিরাল আবু মুজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খন্দকার রকিবুর রহমান।
পাঠকের মতামত