প্রকাশিত: ১০/০৪/২০১৮ ৭:১৯ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:২২ এএম

শহরে আবাসিক হোটেলে অবসর সময় কাটাতে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে বেয়াই-বেয়াইনকে আটক করেছে পুলিশ।

পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আটকরা দাবি করেন হাসপাতালে এসে বিশ্রাম নিতেই তারা হোটেলে উঠেছেন। তবে হোটেলের মালিক চাঁদা দাবি করে না পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছেন।

আটকরা হলেন- কালকিনি উপজেলার কালাই সরদারেরচর গ্রামের মোকসেদ বেপারী (৪৫) ও তার পাশের গ্রামের মহরদ্দীরচর এলাকার তার বেয়াইন (৪০)। সোমবার দুপুরে সুমন হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা দাবি করেছেন, মাদারীপুরের নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে জানতে পারেন ডাক্তার ৪ ঘণ্টা পরে আসবেন। এ সময় তারা পাশের সুমন হোটেলে বিশ্রাম নিতে চান।

হোটেল মালিক সিরাজ মুন্সী মাদারীপুর ডিবি পুলিশের এক সদস্যকে কল দিয়ে হোটেলে এনে তাদের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু মোকসেদ বেপারী টাকা দিয়ে অস্বীকৃতি জানালে তারা হুমকি দেয়।

এ ব্যাপারে হোটেলের মালিক সিরাজ মুন্সী টাকা দাবির কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি তাদের কাছে কোনো টাকা দাবি করিনি এবং পুলিশকে ফোন দেইনি।

একপর্যায়ে স্থানীয়রা বিষয়টি মাদারীপুরের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। প্রশাসন এই ঘটনাটি জানতে পেরে সদর থানা পুলিশ পাঠিয়ে ওই বেয়াই-বেয়াইনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশের কাছে মোকসেদ বেপারী দাবি করেন, তার স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে তার বেয়াইনকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর শহরে আসেন। তিনি হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালের পাশেই একটি হোটেলে বিশ্রামের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে তার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয়।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ওসি আবু নাইম বলেন, সুমন হোটেল থেকে আটক দুইজনকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএনের সঙ্গে আরসা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি

কক্সবাজারে উখিয়ার আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যদের সঙ্গে আরসা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে এপিবিএনের ...

কারা হাসপাতালে ‘রাজারহালে’ রোহিঙ্গা নবী হোসেনের প্রধান সহযোগী জোবায়ের

এএইচ সেলিম উল্লাহ, কক্সবাজার:: মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের নিয়ন্ত্রিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনের ...