হুমায়ুন কবির জুশান ( উখিয়া কক্সবাজার )
চরম নির্রযাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা এখন ভালো আছে। কখন তাদের প্রত্যাবাসন হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। চলতি বছরের ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্যে বাংলাদেশ সম্পূর্রণ প্রস্তুত ছিল। আন্তর্রজাতিক চাপের মুখে খুব ছোট আকারের হলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার খুবই আগ্রহ দেখিয়েছিল। ২০১৮ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জোর আলোচনার পর আন্তর্রজাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাড়লে মিয়ানমার যেকোনোভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর একটা বার্রতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তখন পর্রযন্ত রাখাইনে মিয়ানমার বাহিনীর দমন-পীড়ন চলছিল এবং প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ ছিল না। ফলে প্রত্যাবাসন শুরু সম্ভব হয়নি। রোহিঙ্গা নেতা জিয়াবুর রহমান বলেন, সবার আগে রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসন এবং রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। নাগরিকত্বসহ সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না হওয়া পর্রযন্ত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে না। আমরা সব কিছু ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। এখানে আমরা অনেক ভাল আছি। ময়নাঘোনা ক্যাম্প ১৭ এর রোহিঙ্গা শিক্ষিকা জরিনা (২৮) ক্যাম্পে তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াচ্ছিলেন। জানতে চাওয়া হলো এখানকার ক্যাম্পের পরিবেশ ও মিয়ানমারের তাদের ফেলে আসা দিনগুলি সম্পর্রকে। তিনি জানান, তার চোখের সামনে অনেককে গুলি করে হত্যা করতে দেখেছেন। শুধু তিনি নন, তার মতো আরও অনেকেই হারিয়েছেন স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের। মিয়ানমারের বিজিপি, নাসাকা বাহিনী ও উগ্র বৌদ্দরা এই হত্যাকান্ড চালিয়েছে। সেই সময় তারা লাইন করে রোহিঙ্গা যুবতীদের গণধর্রষণ ও খোলা আকাশের নিচে সন্তান প্রসবসহ স্বজন হারানোর সেই স্মৃতি এখনো ভুলতে পারি না। তার চেয়ে এখানে আমরা অনেক ভালো আছি। রোহিঙ্গা শিক্ষার্রথী খুশিদা (৭), নুর হাসিনা ( ১০), নুর কায়দা (৯), আয়েশা (১১০,সায়িকা (৮), ও রোহিঙ্গা শিশু জুনাইদ ক্যাম্প স্কুলে পড়া-লেখা শেষ করে খেলা করছিল। তারা সকলে কেমন আছে জানতে চাইলে সকলে এক বাক্যে এই প্রতিবেদককে বলেন আমরা ভালো আছি। এখানে ক্যাম্পে আমাদের লেখা-পড়ার পাশাপাশি বিনোদন ও খেলা করতে দোলনাসহ অনেক কিছু দিয়েছে এনজিওরা। তাই তারা খুব খুশি।
পাঠকের মতামত