
মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সামরিক সরকারের একাধিক বিমান হামলার পর জীবন বাঁচাতে সীমান্তবর্তী দেশ থাইল্যান্ডে প্রবেশ করা প্রায় ২০০০ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ। অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ দ্য কারেন ইনফরমেশন সেন্টার বলেছে যে, থাইল্যান্ডের সীমানা থেকে মিয়ানমারে ফিরতে বাধ্য হওয়া ২,০০৯ জন এখন বিভিন্ন জঙ্গলে আত্মগোপন করে আছেন।
সিএনএন অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক জেটগুলো একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত গ্রামগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে। এরপর রোববার মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কারেন রাজ্যের কয়েক হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী কারেন রাজ্য। এখানকার কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) এই রাজ্যের বড় অংশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা সীমান্তের কাছে সেনাদের একটি পোস্ট হামলা চালিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে। তবে তারা সেনা সদস্য নাকি সাধারণ জনতা তা জানা যায়নি।
কারেন রাজ্য ও থাইল্যান্ডের শরণার্থী শিবিরের মধ্যে কাজ করা অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ কারেন উইমেন অর্গানাইজেশন (কেডব্লিউও) নিশ্চিত করেছে যে, বিমান হামলার ফলে রাজ্যের ১০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে, যাদের মধ্যে সালউইন নদী পাড়ি দিয়ে প্রায় ৩০০০ হাজার মানুষ থাইল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছে। তাদের মধ্যে ২০০০ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।
১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকেই সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে টালমাটাল আছে মিয়ানমার। এ অবস্থায় রক্তাক্ত দমনপীড়নের পর সেনাবাহিনী ওই বিমান হামলা চালিয়েছে। এদিকে সেনা সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী শনিবার গুলি করে হত্যা করেছে কমপক্ষে ১১৪ জন বিক্ষোভকারীকে। সোমবারও তারা ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করে। দেশটিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৫১০ বিক্ষোভকারী
পাঠকের মতামত