প্রকাশিত: ২৮/০১/২০১৮ ৭:৩৪ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৭:৩০ এএম
এম,এস রানা ::

উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়ন পাইন্যাশিয়া গ্রামে সংঘবদ্ব ডাকাত দলের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে গ্রামবাসী। ঘটনার পর থেকে উপকূলীয় ইউনিয়ন জুড়ে ডাকাত আতংক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারী রাত অনুমান ৯টার দিকে ২০/২৫ জনের একটি স্বশস্ত্র ডাকাত দল পাইন্যাশিয়া ও জুম্মাপাড়া এলাকায় অবস্থান নেয়। তাদের পরিকল্পনা ছিল রাত বাড়ার সাথে সাথে তাদের তার্গেট করা বাড়ি গুলোতে হানা দিয়ে স্বর্বেশ্য লুটে নেয়া, ভাগ্যক্রমে পাড়া কিছু ব্যাক্তি ডাকাত দলের আনাগোনা টের পেয়ে তৎখানিক মসজিদের মাইক দিয়ে ডাকাত আগমনের কথা প্রচার করতেই এলাকার নারী পুরুষ হৈ ছৈ করে আলো, মশাল জালিয়ে যার যা আছে তা নিয়ে ডাকাত প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে অবস্থা বেগতি দেখে স্বশস্ত্র ডাকাত দল পালিয়ে যায়। যার ফলে একটি স্বশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটার আগেই এলাকাবাসী রক্ষা পেয়েছে।
ইতিমধ্যে গত সপ্তাহে ইনানীতে দুই বাড়িতে ডাকাত হানা দিতে গেলে একই ভাবে গ্রামবাসী মসজিদের মাইকের মাধ্যমে ডাকাত আগমনের খবর প্রচার করলে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে তখন ডাকাত দল ফাঁকা গুলিবর্ষন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।  এছাড়াও গত ২৩ জানুয়ারী ভোর রাতে একই ইউনিয়নের মোঃ শফিরবিল গ্রামের আমির হামজা ও মুহিবুল্লাহ নামক দুই ব্যক্তির বাড়িতে সংঘবদ্ব ডাকাতির ঘটনা ঘটে, এ সময় ডাকাত দলের এলোপাতাড়ি গুলিতে ছোঁড়ে এতে আমির হামজার স্কুলে পড়ুয়া মেয়ে জুলেখা( ১৫) গুলিবিদ্ব হয়। তাছাড়াও গত ১৮ ডিসেম্বর রুমখাঁ বাজার স্ংলগ্ন একটি বাড়িতে স্বশস্ত্র ডাকাতদের হানা এলাকাবাসী ব্যার্থ করে দেয়ার পর হলদিয়া ইউনিয়নের ধুরুম খালীতে একই রাতে দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার পরদিন ১৯ ডিসেম্বর গভির রাতে একই ইউনিয়নের রুমখাঁ হাতির ঘোনা এলাকার বিশিষ্ট চাউল ব্যবসায়ী বেলাল আহমদের বাড়ি ডাকাত দল হানা দিয়ে ২২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল, নগদ টাকা ও স্বর্কার নিয়ে যায়। এসময় ১০ জন বাড়ির সদস্যকে বেড়ক পিটিয়ে আহত করে। বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন উখিয়া উপজেলা সভাপতি মোঃ শাহ আলম বলেন, উখিয়ার সর্বত্র এখন ডাকাত আতংকের এক মাত্র কারন রোহিঙ্গাদের অবাদ বিচরন, ইতিমধ্যে প্রমান হয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে।রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে পর পর কয়েকটা খুন, র্র‍্যাব সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া রোহিঙ্গা ডাকাতদের নিকট পাওয়া এ সব অবৈধ অস্ত্রই বলে দিচ্ছে উখিয়া টেকনাফ বাসী আজ নিরাপত্তাহীনতা হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্ধাদের জান মাল রক্ষার সার্থে প্রশাসনকে আরো কঠুর হতে হবে। রোহিঙ্গাদের অবাদ বিচরন বন্ধ করতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোর চার পার্শ কাটাতারের বেড়া স্থাপন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এদিকে ডাকাত আতংকে উখিয়ার প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষ রাতে পাহারা বসিয়েছে, বিশেষ করে উপকূলীয় ইউনিয়ন জালিয়াপালংয়ের মানুষ নির্ঘুম রজনী পার করছে।
নিরহ গ্রামবাসীর জান মাল রক্ষার্তে রাতের বেলায় থানা পুলিশের টহল ও নজরদারী জোরদার করার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

পাঠকের মতামত

ব্র্যাকের আয়োজনে ‘যুব ক্যারিয়ার ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত

যুবদের দক্ষতা উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার তাগিদ বিশিষ্টজনদের দেশে চাকরির তুলনায় চাকরিপ্রত্যাশীর সংখ্যা ...

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদনসীমান্তে ডজনখানেক সশস্ত্র আরাকান আর্মির অবস্থান, বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়

সোমবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মির (এএ) এক সশস্ত্র সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ...