
নিজস্ব প্রতিবেদক::
টেকনাফ বাহারছড়ায় নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠছে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক(টমটম)। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় অনেক দূর্ঘটনা। জানা যায় টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়াতে প্রায় তিনশত এর বেশি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক টমটম রয়েছে। এই প্রত্যেক গাড়ি গুলোর প্রায় চালক আঠার বছরের নিচে অদক্ষ শিশু চালক বলে জানা যায়। যার কারণে এই জনপদে প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় অনেক সড়ক দূর্ঘটনা। অন্যদিকে এই অবৈধ গাড়ি গুলো বাহারছড়ার একমাত্র প্রাণ কেন্দ্র শামলাপুর বাজারে ব্যাপক জানজটের সৃষ্ট্রি করে। এমনিতে শামলাপুর বাজারের ফুতপাত গুলো স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে। তার মাঝে আবার টমটম চালকরা রাস্তার দুই পাশে গাড়ি পার্কিং করে রাস্তার অর্ধেক পথ দখল করে রাখে। যার ফলে বাজারের ছোট্র একটি পথ অথাৎ একশত মিটার পথ পাড়ি দিতে প্রায় এক ঘন্টার বেশি জ্যামে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। তাই ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় জনসাধারণ। আর প্রতিনিয়ত আতংকে থাকে কখন যে দূর্ঘটনা হচ্ছে। এদিকে অনুসদ্ধানে আরো জানা যায় এই অবৈধ টমটমকে ঘিরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র সক্রিয়। তারা প্রত্যেক মাসে বিভিন্ন কায়দায় গাড়ি গুলো থেকে চাঁদা তুলে নিজেদের পকেটে ঢুকায় বলে অনেক চালকের অভিযোগ। জানা যায় তারা একটি টমটম থেকে প্রত্যেক মাসে ৪০০ শত টাকা করে চাঁদা তুলে। তার মধ্যে সরকারী একটি বাহিনীকে ম্যাচ খরচ বাবত প্রত্যেক মাসে ১০ হাজার টাকা চাঁদা প্রদান করে। আর বাকী টাকা গুলো যায় টমটম সমিতির দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন নেতাদের পকেটে। তবে তার মধ্যে সমিতির এক শীর্ষ নেতার এই টাকা গুলোর প্রতি কোনো লোভ নেই বলে সমিতির অনেক সদস্য এই প্রতিবেদক কে জানান। তাহলে টাকা গুলো কোথাই যায় এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন সমিতির শীর্ষ নেতাকে পুঁজি করে কিছু ছোটখাট প্রভাবশালী নেতা প্রত্যেক মাসে মোটা অংকের টাকার ধান্ধায় নেমেছে বলে অভিযোগ। এদিকে অনুসন্ধানে বাহারছড়ার টমটম সমিতির আরো ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি উঠে এসেছে। তার মধ্যে উক্ত সমিতি সরকাররী ভাবে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৭ সালের শেষের দিকে। তার আগে সরকারী তালিকাহীন ভাবে এই সমিতি চলছিল প্রায় ৬ বছর। আর সমিতির নামে প্রত্যেক টমটম থেকে প্রত্যেক মাসে ৩০০ টাকা করে চাঁদা তুলা হত। কিন্তু সেই টাকা সমিতির ব্যাংক আকাউন্টে জমা না হয়ে এক ধরণের স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ছোটখাট রাজনৈতিক নেতাতের পকেটে গেছে বলে অভিযোগ। তার পরে সমিতিটি সরকারী রেজিষ্ট্রার হওয়ার পর প্রায় দুই বছর যাবত সমিতির ব্যাংক একাউন্টে একটি টাকাও জমা হয়নি বলে শতশত টমটম চালক এই প্রতিবেদক কে অভিযোগ করেন। এখনো প্রত্যেক মাসে একটি মোটা অংকের টাকা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে চলে যায় বলে চালকদের অভিযোগ। অথচ সমিতির একাউন্টে এত দিনে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা হওয়ার কথা। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমিতির এক নেতা জানান আমাদের সমিতির একাউন্টে শ্রমিকদের একটিও টাকাও জমা হয়নি। আমাদের টাকা গুলো কোথাই এমন প্রশ্ন করলে তারা লাইন থেকে বহিষ্কার করার হুমকি প্রদান করে। এতে আমরা চরম অসহায়। অন্যদিকে এই বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ব্যাটারি চালিত টমটম এ অটোরিক্সা গুলো অবৈধ। সরকারী ভাবে এগুলো রাস্তায় চলার কোনো অনুমতি নেই। তারপরও আমার দায়িত্বরত উপজেলাতে এই অবৈধ যানবাহন নিয়ে যারা দূর্নীতি করবে অভিযোগের ভিক্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।..(চলবে)
পাঠকের মতামত