প্রকাশিত: ২৯/০৯/২০২১ ৯:২৯ এএম

সুজাউদ্দিন রুবেল::
রোহিঙ্গা শিবিরে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে অপহরণ
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে অপহরণ ও মুক্তিপণের ঘটনা। চলতি বছরে ক্যাম্পে অপহরণের ঘটনা দেড়শ’রও বেশি। টাকা না পেলে হত্যাও করছে অপরাধীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে স্থানীয় অপরাধীদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

টেকনাফের বাহারছড়ার অটোরিকশা চালক মাহামুদুল করিমকে গত ৩১ জুন অপহরণ করে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ। এরপর ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়েও ছাড়া পাননি তিনি। ১১ আগস্ট মেলে তার মৃতদেহ।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে দেড়শ’রও বেশি। ক্যাম্পে অপহৃতদের জিম্মি করে আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও অপহরণের শিকার হচ্ছে।

নিহত মাহামুদুল করিমের ভাই ওয়াজ করিম বলেন, তারা আমাকে বলে আমি টাকা যোগাড় করতে পারছি কি না। তখন আমি বলি ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করতে পারছি। তখন আমাকে বলে ওই টাকাগুলো দে তোর ভাইকে ছেড়ে দেব। এরপর আমাদের বিকাশ নম্বর দিলে ওই নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিই।

গত শনিবার টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে পাহাড় থেকে র‌্যাব উদ্ধার করে নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩ যুবককে। যাদের অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছিল রোহিঙ্গারা।

একই সঙ্গে মুক্তিপণে ব্যবহৃত বিকাশ নম্বরগুলো শনাক্ত হচ্ছে দেশের নানা জেলায়। তাতে ক্যাম্পের বাইরের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে রোহিঙ্গা গ্রুপগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের তথ্যও পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আরও পড়ুন: অপহরণ করে ৩ যুবককে পাহাড়ে নিয়ে যায় রোহিঙ্গারা

১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, কিছু কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা এবং বাঙালি তারা মিলে যায়। তাদের অপরাধের ধরন এবং স্বার্থ যখন একই রকম সেক্ষেত্রে তারা মিলে অপরাধে যুক্ত হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের অপরাধের নেটওয়ার্ক ভাঙা না গেলে অপরাধ পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলে আশঙ্কা নাগরিক সমাজ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের।

কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, মানবপাচারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অপহরণ জনিত কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক লে. কর্নেল ফোরকার আহমদ বলেন, আমাদের সবচেয়ে যেটা প্রয়োজন সেটা হলো তাদেরকে তাদের জায়গায় যাতে ফেরত যায়, মিয়ানমারে যাতে ফেরত যায়, সেটার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো। আমরা যাতে সবাই মিলে সেটা করতে পারি।

গত ৪ বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণসহ নানা ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজারেরও বেশি। যেখানে আসামি ২ হাজার ৬৮৭ জন।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজার মহাসড়কে বেপরোয়া ঈগল বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় বাসের ধাক্কায় জায়েদ হাসান সাকিব নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। রবিবার ...

জাসদ কার্যালয়ের জায়গায় ‘শহীদ আবু সাঈদ জামে মসজিদ’ নির্মাণের ঘোষণা

বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ভেঙ্গে ফেলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) ...

কোনো মাস্টার মাইন্ড জামায়াত বিশ্বাস করে না : কক্সবাজারে শফিকুর রহমান

জুলাই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব মহান আল্লাহর, নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. ...

বাড়ছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, আটক ৩৩

বান্দরবানের আলীকদম সীমান্তে বাড়ছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা। আজও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে শিশুসহ ৩৩ মিয়ানমারের নাগরিককে আটক ...