বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৭/০৪/২০২৪ ৮:২৮ পিএম
সৈকতের খালের উপর মারমেইড বিচের অবৈধ সেতু !

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের পর্যটন স্পট হিমছড়ি সংলগ্ন জনপ্রিয় রিসোর্ট মারমেইড বিচ কতৃপক্ষ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বহমান খালের উপর অবৈধ একটি সেতু নির্মান করেছে। যা নিয়ে চলছে জনমনে অসন্তোষ। এ নিয়ে স্থানীয় জনগণের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কারন এ খাল দিয়েই স্থানীয়রা ছোট ইঞ্জিন চালিত বোট নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে বের হতো। খালের উপর সম্প্রতি সেতু নির্মান করায় সেতুর নিচ দিয়ে বোট চালানো যাচ্ছেনা।

জানা যায়, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উন্মুক্ত সৈকতের উপর মারমেইড বিচ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি সেতুটি নির্মাণ করে।
স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মারমেইড বিচ কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করছেনা। তারা সম্প্রতি রাতের আঁধারে সেতুটি নির্মাণ করে অবৈধভাবে। কারণ চলমান খালের উপর সেতু নির্মাণ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। বিষয়টি স্থানীয় জনগণের দৃষ্টিগোচর হয়। এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে অভিযোগ আকারে জানালে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ এসে বিষয়টি দেখে চলে যায়। শুনেছি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মারমেইড বিচ কর্তৃপক্ষ সেতুটি খালের উপর দৃশ্যমান রেখেছে।

স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে আরো জানা গেছে, মারমেইড বিচ রিসোর্ট এর মালিক সোহাগ স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে নাম মুল্যে হুমকি-ধমকি দিয়ে সমুদ্র সৈকতের বিশাল এলাকা অবৈধ দখলে রেখেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,মারমেইড বিচ রিসোর্টের বিশাল এলাকার অধিকাংশই খাসজমি ও সৈকতের বেলাভূমি। অল্প সংখ্যক জমি কিনে পাশের খাস জমি ও সৈকতের বালিয়াড়ির জমির মধ্যেই গড়ে উঠেছে মারমেইড বিচ রিসোর্ট। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক রেখে, তাদের কমিশন দিয়ে সমুদ্র সৈকতের বিশাল এলাকা দখলে রেখে গলাকাটা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে মারমেইড বিচ কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে মারমেইড বিচ রিসোর্টের একাধিক নাম্বারে যোগাযোগ করে বক্তব্য জানতে চাইলে সবাই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘সরকারি জমি হোক আর ব্যক্তিগত জমি হোক, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ নেই। খাস বা সৈকতের বালিয়াড়ির জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...