
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে ‘অসাবধানতাবশত’ অরিত্র মো. মুজিব নামের এক পর্যটক জাহাজ থেকে নাফ নদে পড়ে যান। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের এক সদস্য নাফ নদে ঝাঁপ দিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদে এই ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার শিকার যাত্রী অরিত্র মো. মুজিব পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ধৌদ্ধা ঝোলা এলাকার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায়হান কাজেমী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাচ্ছিলেন পর্যটক অরিত্র মো. মুজিব। একপর্যায়ে তিনি জাহাজের সাইট রেলিংয়ে বসেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জাহাজের কর্মীদের নিষেধে তিনি সরে গিয়ে ফের সেখানে গিয়ে বসেন। একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নাফ নদে পড়ে যান।
জাহাজ থেকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অরিত্রকে উদ্ধারে নাফ নদে ঝাঁপ দেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. জুমায়েত হোসেন। জাহাজের কর্মীদের সহযোগিতায় কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি যাত্রী অরিত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করেছিল সেন্টমার্টিনগামী ওই এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজ। এই অভিযোগে ওই জাহাজ কর্তৃপক্ষকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারাজানা প্রিয়ংকার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে অবস্থিত এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজ কার্যালয়ে গিয়ে এই জরিমানা করেন।
অন্যদিকে এ ব্যাপারে দুর্ঘটনার শিকার পর্যটক অরিত্র মো. মুজিব স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জাহাজের কর্মীদের বার বার সতর্কবাণী দেওয়ার পরও তিনি ঝুঁকিপূর্ণভাবে জাহাজের সাইড রেলিংয়ের ওপর বসেন। এতে তিনি অসাবধনাতবশত নাফ নদে পড়ে যান।
অরিত্র তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘আমি আমার নিজের ভুল, অসাবধানতা এবং অসচেতনতার কথা স্বীকার এবং দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের কোনো দোষ বা গাফিলতি বা কোনো প্রকার অবহেলা ছিল না মর্মে উক্ত জবানবন্দি প্রদান করলাম।’
পাঠকের মতামত