প্রকাশিত: ১০/০৬/২০২০ ৭:০৪ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রেড জোন ঘোষিত কক্সবাজার পৌর এলাকায় চতুর্থদিনের মত লকডাউন চলছে। তবে অন্যদিনের চেয়ে আজকে শহরে প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও উপসড়কে কিছু সংখ্যক যানবাহন চলাচল এবং দোকানপাট খোলা থাকলেও কড়াকড়িভাবে চলছে লকডাউনের কার্যক্রম।

লকডাউন বাস্তবায়নে গতকাল মঙ্গলবারও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা।

লকডাউনের নির্দেশনা না মেনে কক্সবাজার শহরের কয়েকটি এলাকায় কিছু সংখ্যক দোকানপাট খোলা রাখার অভিযোগে প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে মাঠে কাজ করছে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা। সংগঠনটি পৌর এলাকার ১২ টি ওয়ার্ডে ৩৬ টি টিম গঠন করে লকডাউন বাস্তবায়নে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব টিমের সদস্যরা লকডাউন বাস্তবায়নে তৎপরতা চালানো পাশাপাশি সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহে স্বাস্থ্য কর্মিদের সহযোগিতার কাজ অব্যাহত রেখেছে।

এছাড়া জেলায় রেড জোন ঘোষিত টেকনাফ পৌর এলাকা, উখিয়ার কোটবাজার ও কুতুপালং স্টেশন, চকরিয়া পৌর এলাকা ও ডুলহাজারা ইউনিয়নেও লকডাউন চলছে কড়াকড়িভাবে।

রেড জোন ঘোষিত কক্সবাজার পৌর এলাকায় আগামী ২০ জুন এবং জেলার অন্যান্য এলাকায় ২১ জুন পর্যন্ত এ লকডাউন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজারে লকডাউন কার্যকরে কঠোর অবস্থান প্রসঙ্গে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও জেলা করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার জানান, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার বিবেচনায় প্রশাসন কক্সবাজার পৌর এলাকাকে দেশের প্রথম রেড জোন ঘোষণা দিয়েছে। পরবর্তীতে শনিবার সকাল থেকে জেলা শহরে লকডাউন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি এ নিয়ে প্রশাসন জেলার আরো কয়েকটি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এখন জেলায় করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৬৫ দিনে মোট ৭৯৫৫ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা ভাইরাস টেষ্ট করা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে। তারমধ্যে ১১০৩ জনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ পাওয়া গেল। এতে কক্সবাজার জেলার রয়েছে ১০০১ জন। এ পর্যন্ত এক রোহিঙ্গা সহ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের চোরাই ১১টি মহিষ ১১লাখ ৫০হাজার টাকায় নিলামে বিক্রয়

মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে চোরাইপথে পাচারকালে কক্সবাজার উখিয়ার সীমান্ত পয়েন্ট থেকে ৬৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ...