প্রকাশিত: ০৪/০৪/২০১৮ ৪:২১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৩৭ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে শীর্ষ স্থানীয় ভূমিকা রাখা উচিত কানাডার। সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ ও গণহত্যা হয়েছে তা তদন্তে পদক্ষেপ নিতে হবে কানাডাকে। প্রথমেই এগিয়ে যেতে হবে মানবিক সহায়তা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা নিয়ে। উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানাতে হবে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্টে এসব কথা বলেছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত কানাডার বিশেষ দূত বব রাই। তিনি একাধানে একজন আইনজীবী ও অন্যদিকে লিবারেল সাবেক অন্তর্বর্তী নেতা। তার রিপোর্টে তিনি ১৭টি সুপারিশ করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিবিসি নিউজ। এতে বলা হয়, বব রাই যেসব সুপারিশ করেছেন তার মধ্যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে কানাডা ও আন্তর্জাতিক মিত্ররা কিভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সহায়তা করতে পারে। তিনি বলেছেন, বহু বছর মেয়াদী একটি তহবিল গড়ে তোলা উচিত কানাডার। আর সেটা শুরু হতে হবে এ বছর থেকেই। এর আওতায় থাকবে মানবিক সহায়তা, শিক্ষা ও অবকাঠামোগত সহযোগিতা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে পরবর্তী চার বছরে বার্ষিক খরচ হতে পারে ১৫ কোটি ডলার। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে পরিস্থিতি হবে আরো ভয়াবহ। বুধবার অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে তা খাটো করে দেখা উচিত হবে না কারো। এক্ষেত্রে কানাডা ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ নেয়ায় বাধ্যবাধকতা আছে। তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কটকে অত্যন্ত ট্রাবলিং ও ট্রাজিক বলে আখ্যায়িত করেন। বব রাই তার সুপারিশে বলেন, যদি সত্যি রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন সম্ভব করতে হয় তাহলে প্রথমেই মিয়ানমারকে তার হৃদয় পরিবর্তন করতে হবে। তিনি সুপারিশে আরো বলেছেন, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ স্থাপনে নীতি গ্রহণ করতে হবে কানাডাকে। মিয়ানমারের সব সম্প্রদায়ের সত্যিকার যেসব উন্নয়ন সহায়তা প্রয়োজন তাতে সাড়া দিতে হবে। রাখাইন ও পুরো মিয়ানমারে উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়ানো উচিত কানাডার। বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশুদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দৃষ্টি দিতে হবে পুনরেকত্রীকরণ, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার পরিস্থিতিতে। সুপারিশে তিনি আরো বলেছেন, মিয়ানমারে মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ হয়েছে এবং যে গণহত্যা হয়েছে তা তদন্তে পদক্ষেপ নিতে মিত্রদের সঙ্গে কাজ করতে হবে কানাডাকে। সরকারের ভিতরে একটি গ্রুপ সৃষ্টি করা উচিত কানাডার। তা হবে রোহিঙ্গা ওয়ার্র্র্কিং গ্রুপ। এর চেয়ার হবেন একজন সিনিয়র উপমন্ত্রী। যৌথভাবে গৃহীত উদ্যোগ যাতে কার্যকর হয় সে জন্য একটি আন্তর্জাতিক ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি কানাডার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি তার রিপোর্টে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির নাম উল্লেখ করেন নি। বব রাই আশা করেন, এ বিষয়ে কথা বলবেন সুচি।

পাঠকের মতামত