ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৯/০৭/২০২৩ ৭:৩৪ এএম

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুদিনে ৭ খুনের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। গত শুক্রবারের (৭ জুলাই) বালুখালীর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এপিবিএন। শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী এসব তথ্য জানান।

শুক্রবার ভোরে বালুখালীর ৮ (পূর্ব) নম্বর ক্যাম্পে আরসা ও আরএসও গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে ৫ জন নিহত হন। বিকালে একই ক্যাম্প থেকে গলাকাটা একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার কুতুপালংয়ের ১ (পশ্চিম) নম্বর ক্যাম্পের এ/৯ ব্লকের সাব-মাঝি এবাদুল্লাহকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। ওই সময় কুতুপালংয়ের ১ (পশ্চিম) নম্বর ক্যাম্পের এ/১ ব্লকে ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদ খানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

গতকাল উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, দুদিনে ৭ খুনের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। এসব ঘটনার জন্য ৩টি মামলা হবে। এপিবিএন স্বজনদের সঙ্গে আলাপ করে মামলার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।

বালুখালীর ঘটনায় আটক ছয়জন হলেন- ক্যাম্পের এইচ/১৯ ব্লকের মোহাম্মদ ফোরকান, বি/৩৩ ব্লকের এনাম উল্যাহ, এফ/২৮ ব্লকের এবাদ উল্লাহ ও আরিফ উল্যাহ, বি/২৫ ব্লকের মোহাম্মদ জুবায়ের ও বি/৩২ ব্লকের বি রহমান।

৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, বালুখালীর ৮ (পূর্ব) নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের ধরতে এপিবিএন বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত যৌথ অভিযানে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নিহতরা হলেন বালখালীর ৯ নম্বর ক্যাম্পের আবদুর শুক্কুর, ৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ/৪৯ ব্লকের আনোয়ার হোসেন, এ/২১ ব্লকের মোহাম্মদ হামীম, ১০ নম্বর ক্যাম্পের এইচ/৪২ ব্লকের মো. নজিমুল্লাহ ও ১৩ নম্বর ক্যাম্পের বি/১৭ ব্লকের নুরুল আমিন।

এ ছাড়া শুক্রবার বিকাল ৫টায় বালুখালীর ৮ (পূর্ব) নম্বর ক্যাম্পে থেকে সানাউল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি ১১ নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা।প্রতিদিনের বাংলাদেশ

পাঠকের মতামত

ঘটনাপ্রবাহঃ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা

এমএসএফ হাসপাতাল সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা : মানবিক সেবা নাকি নতুন দ্বন্দ্বের সূচনা?

উখিয়া উপজেলার দক্ষিণের গ্রাম গয়ালমারা। এখানেই দাঁড়িয়ে আছে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা এমএসএফ (Médecins Sans Frontières) ...