প্রকাশিত: ১০/০৬/২০২০ ১:৪৭ পিএম
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সরকার নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার কম। জাতিসংঘে এক প্যানেল আলোচনায় এ কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

বুধবার (১০ জুন) জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) আয়োজিত ‘মানবিক প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলোর ক্রমবর্ধমান জটিলতা নিরসন’-শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এ প্যানেল আলোচনা অংশ নিয়ে রাবাব ফাতিমা বলেন, মানবতা ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণপ্রতিশ্রুতির স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্ত্যচ্যুত ১ দশমিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাসে-স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা এবং অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা এ সভায় উল্লেখ করেন তিনি।

রাবাব ফাতিমা বলেন, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে খাদ্য, পুষ্টি, পানীয় জল ও স্যানিটেশনের মতো নিয়মিত মানবিক কর্মসূচিগুলো নির্বিঘ্নে অব্যাহত রাখা হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশেষ এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এর সংক্রমণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে, যা দেশের মূল জনগোষ্ঠীর সংক্রমণের হারের চেয়ে কম। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা এবং এর পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে যে পরিকল্পনা নিয়েছে তাতে রোহিঙ্গাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গৃহীত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে দায়ভার ও দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার নীতি সন্নিবেশিত থাকতে হবে। আর এক্ষেত্রে নিয়মিত মানবিক সহায়তার বরাদ্দ করা তহবিল থেকে কোনো কর্তন না করে অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা তহবিল বরাদ্দ দিয়ে বৈশ্বিক মহামারির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এ জরুরি মানবিক প্রয়োজন মেটাতে হবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের চোরাই ১১টি মহিষ ১১লাখ ৫০হাজার টাকায় নিলামে বিক্রয়

মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে চোরাইপথে পাচারকালে কক্সবাজার উখিয়ার সীমান্ত পয়েন্ট থেকে ৬৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ...