আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪/০৮/২০২৩ ৯:৩২ এএম

অর্থের বিনিময়ে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রাশিয়ায় একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। উড়োজাহাজটিতে প্রিগোজিন ছাড়াও আরও নয় জন যাত্রী ছিলেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবিসি বলছে, বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটিতে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন যাত্রী হিসেবে ছিলেন।

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, বুধবার রাশিয়ার টাভার অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামের কাছে একটি প্রাইভেট জেট বিধ্বস্ত হয়। এটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছিল।

রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, উড়োজাহাজটিতে থাকা ১০ জনের সবাই মারা গেছেন। উড়োজাহাজের যাত্রীদের তালিকায় ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নাম ছিল।

বার্তা সংস্থা তাস রাশিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, এমব্রেয়ার বিমানটি শেরেমেতিয়েভো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এটিতে তিন জন ক্রু ও সাত জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই মারা গেছেন।

রুশ সংবাদমাধ্যম ওই বিমানটিকে এমব্রেয়ার লিগ্যাসি ৬০০ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যেটি প্রিগোজিন নিয়মিত ব্যবহার করতেন।

তবে রুশ কর্মকর্তারা প্রিগোজিন মারা গেছেন কি না, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।

এমনকি, বিবিসির প্রতিবেদনেও রুশ কিংবা ওয়াগনার গ্রুপের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য যোগ করা হয়নি।

তবে ওয়াগনার সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন জানায়, ওই উড়োজাহাজটি মস্কোর উত্তরে টাভার অঞ্চল অতিক্রম করায় সময় সেটিতে বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী গুলি করেছিল।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনার আগে দুটি বিকট আওয়াজ পান। সেখানে ধোঁয়া উড়তে দেখেন। মাটিতে বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উড়োজাহাজটিত আগুন ধরে যায়। এটি থেকে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

গেল জুন মাসে রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন প্রিগোজিন। অনেকেই সেসময় ধারণা করেছিলেন, পুতিন হয়তো এর প্রতিশোধ নেবেন। তবে বেলারুশের মধ্যস্থতায় সেসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রিগোশিনসহ তার বাহিনীর সবাই বেলারুশে নির্বাসনে যান। শর্ত ছিল, প্রিগোজিন সেখানে (বেলারুশে) থাকলেই একমাত্র তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না রাশিয়া।

২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এই অভিযান শুরুর কয়েক মাস পর রুশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় রুশভিত্তিক বেসরকারি সামরিক কোম্পানি পিএমসি ওয়াগনার। ইউক্রেন ছাড়াও সিরিয়া, লিবিয়া, মালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থের বিনিময়ে সরকারি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধ করছেন ওয়াগনারের সেনাসদস্যরা।

রুশ কমান্ডের নেতৃত্বে রাশিয়ার সরকারি সেনাসদস্যদের সঙ্গে এতদিন বেশ ভালোভাবেই মিলেমিশে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছিল পিএমসি ওয়াগনার। তবে গত কয়েক মাস ধরেই ভাসা ভাসা ভাবে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রুশ বাহিনীর সঙ্গে ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের খবরও আসছিল।

পাঠকের মতামত

কার্গো ট্রাকে লুকিয়ে ভ্রমণের সময় দুর্ঘটনা, ১০ অভিবাসী নিহত

মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্তবর্তী চিয়াপাস প্রদেশে মাদক ও মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে টহল দিচ্ছে মেক্সিকান সৈন্যরা। গত ...

মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন মোহাম্মদ মুইজ্জো

মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জো ভারত মহাসাগরের দেশ মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী দলীয় ...

ভিসানীতি কার্যকরের উদ্দেশ্য সুষ্ঠু নির্বাচন, আবারও জানালো যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পথে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি কার্যকরের ...

থাইল্যান্ডে বৌদ্ধভিক্ষুর বেশধারী ৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সোংখলা প্রদেশে গতকাল রোববার সাত বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই এড়াতে ...

বাংলাদেশে ভিসানীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে ভিসানীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের ...