প্রকাশিত: ২০/০৫/২০১৮ ২:১৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:৪৪ এএম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ডেস্ক নিউজ : বেপরোয়া মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধে এবার ‘ক্রসফায়ার’ শুরু করেছে র‌্যাব। গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। তবে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা ও জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া মাদক নির্মূল সম্ভব নয়।

সম্প্রতি র‌্যাবের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রাত থেকে রোববার ভোরের মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ময়মনসিংহ, ফেনী, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ ও যশোরে চারজন নিহত হয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে, সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ ও কুষ্টিয়ায় দুই ব্যক্তি, বুধবার রাজশাহীতে এক ব্যক্তি ও বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামে দুই ব্যক্তি নিহত হন। গত শনিবার রাতে যশোরের অভয়নগরে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন তিন মাদক ব্যবসায়ী।

মাদক প্রতিরোধে প্রতি বছরই মামলা বেড়েছে, অপরাধীরা আইনের ফাঁক গলিয়ে আবার ফিরে এসে নেমে পড়েছে পুরাতন ব্যবসায়। পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে দেখা গেছে, ২০১৩ সালে সারা দেশে মাদকের মামলা ছিল ২৯ হাজার ৩৪, পরের বছরে তা দাঁড়ায় ৪২ হাজার ১৯০টিতে। ২০১৫ সালে ৪৬ হাজার ৫১২টি হলেও ২০১৬ তে তা নেমে আসে ১৮ হাজার ২৮৭টিতে। গত বছরে সে মামলা বেড়ে প্রায় লাখে পৌঁছেছে। ২০১৭ সালে মামলার সংখ্যা ছিল ৯৮ হাজার ৯৮৪টি। মামলার এ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে কিছুটা ছাড় পেয়েছে মাদক কারবারীরা, সে সুযোগে সারা দেশে তারা গড়ে তুলেছে মাদকের অভয়ারণ্য। রাজনীতির বাইরে সারা দেশে এখন অন্যতম আলোচনার বিষয় অপ্রতিরোধ্য মাদক ব্যবসা।
র‌্যাবের চলমান এ অভিযানে মাদক ব্যবসায়ীরা গুটিয়ে থাকলেও মানবাধিকার কর্মিরা বলছেন ভিন্ন কথা। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক, মানবাধিকার কর্মি নুরুল হুদা বলেন, ক্রসফায়ার দীর্ঘ মেয়াদী কোন সমাধান নয়। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের আগে খুঁজে বের করতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে পারলে মাদক নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। তিনি বলেন, রুই কাতলা বাদ দিয়ে চুনোপুটিদের মেরে খুব একটা লাভবান হওয়া যাবে না।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন বলেন, ক্রসফায়ারে সমাধান আসবে না। একটা অপরাধ নির্মূল করতে গিয়ে আর একটা অপরাধ করার কোন মানে হয় না বলে তিনি জানান। মূল সমস্যার সমাধান করতে হলে আইনের সঠিক প্রয়োগ জরুরি বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, মাদকের উৎসগুলো খুঁজে বের করে তার সমাধান করতে হবে।

এদিকে গত শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদক প্রতিরোধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করেছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

পাঠকের মতামত

বদির কাছে হারলেন স্ত্রী

কক্সবাজার ৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য শাহিন আক্তারকে ৩ ভোটে পরাজিত করে উখিয়ার মরিচ্যা পালং ...

গদি নেই তবু সাবেক এমপি বদি!

আবদুর রহমান বদি। কক্সবাজার-৪ আসনের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ছিলেন, তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের টিকিটে। মাদক ...