
আরএন টেগোর, পিয়ারলেস কিংবা অ্যাপোলোর মতো বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আগের মতো রোগীর ভিড় নেই। একই চিত্র ত্রিপুরার আইএলএস হাসপাতাল বা অন্যান্য নামী হাসপাতালেও। কলকাতা, চেন্নাই কিংবা আগরতলা—সর্বত্রই রোগীর অভাব প্রকট। এতে মন্দা চলছে ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যবসায়। মূলত বাংলাদেশি রোগী না পেয়েই এই দশা।
হাসপাতাল ব্যবসায় মন্দার তথ্য উঠে এসেছে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালের ম্যানেজার (অপারেশন) পীযূষ দত্তের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘আগে প্রচুর বাংলাদেশি রোগী এলেও এখন নেই বললেই চলে।’আগরতলা স্থলবন্দরের ম্যানেজার দেবাশিস নন্দী জানান, বাংলাদেশেও করোনার বিধিনিষেধ চালু হওয়ায় রোগী আসছে
আইএলএস হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেবাশীষ ধর বলেন, ‘আগরতলায় এখন দু-একজন রোগী এলেও কলকাতায় জরুরি প্রয়োজন না হলে আমরাই রোগীদের আসতে বারণ করছি।’
আগে বনগাঁ দিয়ে দিনে ১০-১২ হাজার মানুষ শুধু চিকিৎসার কারণেই যাতায়াত করত। এখন সেটা দিনে ১০০–ও হয় নাবলে জানান বেনাপোল সীমান্তে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত কার্তিক চক্রবর্তী।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্থলবন্দরগুলোতে গতকাল বৃহস্পতিবার( ১ জুন) থেকে জারি হয়েছে নতুন বিধিনিষেধ। ১৪ জুলাই পর্যন্ত শুধু রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার খোলা থাকবে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বেনাপোল, দর্শনা, হিলি, বুড়িমারী ও ত্রিপুরার সঙ্গে সংযোগকারী আখাউড়া স্থলবন্দর। ফলে বাংলাদেশ থেকে রোগীরসংখ্যা আরও কমে গেছে।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জানান, গত ২৬ এপ্রিল থেকে স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এনওসি নিয়েকেবল জরুরি চিকিৎসার জন্যই ভারতে আসতে পারছেন বাংলাদেশি রোগীরা।
পাঠকের মতামত