এক হাতে ফলের ঝুঁড়ি, অন্য হাতে ছাতা নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা ছিলেন দুই পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি। সৌম্য চেহারার দুই ব্যক্তিকে দেখে বোঝার উপায় নেই তারা ইয়াবা পাচারকারী। তবুও পুলিশ দেখে তাদের ভড়কে যাওয়া চেহারায় সন্দেহ হয় কোতোয়ালী থানা টহল টিমের। তল্লাশি চালাতে গিয়ে হাতে থাকা ফল ভর্তি ঝুঁড়ি ও ছাতার হাতল থেকে বেরিয়ে আসে পাঁচ হাজার ইয়াবা। এমনকি কাপড় কাঁচার সাবানকে কৌশলে কেটে কৌটায় রুপান্তরিত করা হয়। তার ভেতর থেকেও উদ্ধার করা হয় ইয়াবা। দুই প্রৌঢ়ের ইয়াবা পাচারের এমন অভিনব কৌশল দেখে হতবাক পুলিশ কর্মকর্তারাও। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের আরেক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার তিনজন হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার পাটধা গ্রামের মো. ছাইকুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার মধ্যম জালিয়াপাড়া গ্রামের মো. আইয়ুব ও সাতকানিয়া থানার মাদার্শা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম।
নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, নগরের স্টেশন রোডে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি দল অবস্থান করছিল। এসময় ছাইকুল ইসলাম ও মো. আইয়ুব নামের দুই বয়স্ক ব্যক্তি হাতে দুটি ছাতা ও একটি ফলের ঝুঁড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিশ তাদের তল্লাশি করে। তল্লাশি চালানোর সময় ফলের নিচে ঝুঁড়ির তলায় প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় ইয়াবা পাওয়া যায়। ফলের সঙ্গে থাকা কাপড় কাঁচার সাবানের গোল্লা কৌশলে ভেতরে ফাঁকা করেও ইয়াবা রাখা হয়। এমনকি হাতে থাকা দুইটি ছাতার হাতলের ভেতর থেকেও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। দুইজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে জাহাঙ্গীর আলম নামে তাদের আরেক সহযোগীকে খুলশীর আমবাগান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন সমকালকে বলেন, তিনজন মিলে কক্সবাজার থেকে ইয়াবাগুলো কিনে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার রাতে ইয়াবাগুলো বিক্রির জন্য কিশোরগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। রাতে দুইজন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আরেকজন এসে না পৌঁছায় তারা স্টেশন রোডে পায়চারি করছিলেন। এসময় টহল টিমের সন্দেহ হলে তাদের তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। সুত্র: সমকাল
পাঠকের মতামত