প্রকাশিত: ২১/০৮/২০১৯ ১০:০৯ এএম

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া গত বছর ১৫নভেম্বর ব্যর্থ হওয়ার পর আবারো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তৎপরতায় এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।

এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা গেলেও রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন প্রত্যাবাসন কার্য্যক্রম সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,২০১৭ইং সালে ২৪আগষ্ট ভোররাতে মিয়ানমার সীমান্ত চৌকিতে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার পর মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর হামলা ও হত্যাযজ্ঞ শুরু হলে নিরুপায় হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে বিপূল সংখ্যক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের ঢল নেমে আসে। এসব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে বাংলাদেশ সরকার পড়েন বেকায়দায়।

অনেক কূটনৈতিক তৎপরতার পর ২০১৮ইং সালের ১৫ নভেম্বর আলোচনা স্বাপেক্ষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দিন নির্ধারণ করা হয়।

এরপর হতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চাপা পড়ে গেলেও বাংলাদেশ সরকার আবারো অনেক চেষ্টার মাধ্যমে চলতি বছরের ২২ আগষ্ট তাদের স্বদেশ ফেরানোর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছে।

এই বিষয়ে বাংলাদেশের জনসাধারণ উৎসাহিত হলেও কতিপয় এনজিও এবং রোহিঙ্গা উগ্রপন্থীরা গোপনে প্রত্যাবাসন বিরোধী কর্মতৎপরতায় লিপ্ত থাকায় এই ব্যাপারে সাধারণ রোহিঙ্গারা কোন ধরনের মুখ খুলছেনা।

২০আগষ্ট সকালে এই ব্যাপারে একদল সংবাদকর্মী শালবাগান ক্যাম্পে গিয়ে প্রত্যাবাসন তালিকায় থাকা ৩হাজার ৪শ ৫০জনের মধ্যে কয়েকজন রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলতে গেলে নুর হাশেম (৩২) অনেক ভয়ে কথা বলা শুরু করে।

পরে পাশর্^বর্তী স্থানে ওঁৎপেতে থাকা রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের নেতাদের তৎপরতায় ভয়ে পিতার নাম পর্যন্ত বলতে পারেনি।

এরপর কৌশলে শালবাগান ক্যাম্পের মৃত কালা মিয়ার পুত্র হামিদুর রহমান (৬০), মুহাম্মদ বকসুর পুত্র শামসু আলম (৪২), মৃত নজির আহমদের স্ত্রী কুলসুমা খাতুন (৫৫) ও ফয়জুর রহমানের পুত্র নুর ইসলাম (৪১) এর নিকট প্রত্যাবাসন বিষয়ে জানতে চাইলে আতংকিত অবস্থায় তারা বলেন, মিয়ানমারে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন,সেদেশের কারাগারে থাকা রোহিঙ্গা বন্দিদের মুক্তি দান, জায়গা-জমি ফেরত ও সিটিজেনশীপ দিলে আমরা নিজ দেশে ফিরে যাব। যা অনেকটা বিশেষ মহলের শেখানো বুলির মতোই।

এই বিষয়ে ক্যাম্প ২৬-এর চেয়ারম্যান জাফর আলম বলেন,উর্ধ্বতন মহলের নিষেধ থাকায় কোন ধরনের বক্তব্য দিতে পারবনা।

এদিকে ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কোন ধরনের বক্তব্য না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে এই প্রত্যাবাসন শুরু হবে কিনা তা নিয়েও জেলার সচেতনমহলে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এই ব্যাপারে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ আবুল কালাম বলেন,এই প্রত্যাবাসন কার্য্যক্রম সফল করতে একাধিক সংস্থা কাজ করে আসছে। আশাকরি নির্ধারিত সময়ে এই প্রত্যাবাসন কার্য্যক্রম সফলভাবে শুরু হবে।

পাঠকের মতামত

উপকূলের ম্যানগ্রোভে বিশ্বস্বীকৃতি—দ্য আর্থশট প্রাইজ জিতলো ফ্রেন্ডশিপ

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ পুরস্কার ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ জিতেছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। ...

রোহিঙ্গার হাতে এনআইডি : নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আসামি চসিকের কর্মচারীও

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) শুলকবহর ওয়ার্ড কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যবহার ...

রোহিঙ্গা সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কানাডার প্রাচীনতম মুসলিম ত্রাণ সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) ও ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ...

রোহিঙ্গা নারীকে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরখাস্ত

এক রোহিঙ্গা নারীকে অবৈধভাবে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ...