
উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
তুর্কি উপ-প্রধানমন্ত্রী বাকের বোজদাগ তার গায়ের জ্যাকেট খুলে একজন শীতার্ত মানুষকে পরিয়ে দিয়েছেন।
গত শনিবার তুরস্কের ইয়োজগেট অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটেছে।
তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একে পার্টি) এর ষষ্ঠ আঞ্চলিক সম্মেলন সামনে রেখে তিনি অত্র অঞ্চল পরিদর্শনে বের হন।
এ সময় একজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেন, কেমন আছেন। লোকটি উত্তর দেয় খুব শীত। তার একটি জ্যাকেট প্রয়োজন। উপ-প্রধানমন্ত্রী বাকের তখন তার গায়ের জ্যাকেট খুলে তাকে পরিয়ে দেন।
জ্যাকেট পেয়ে লোকটি দ্রুত ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যায়। ফলে তার পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয় নি।
সিরিয়া ইস্যুতে মার্কিন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সকে তলব করল তুরস্ক
সিরিয়ার কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলা গোষ্ঠী ওয়াইপিজি-কে অস্ত্র সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়ার ঘটনায় আঙ্কারায় মার্কিন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে তুর্কি সরকার।
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শীর্ষ পর্যায়ের মার্কিন কূটনীতিক ফিলিপ কোসনেটকে তলব করে কুর্দি গেরিলাদের প্রতি আমরিকার সমর্থনের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও কূটনীতিক তলবের কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে তুর্কি সরকার মার্কিন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সকে কী বলেছে ওই মুখপাত্র তা জানাতে অস্বীকার করেছেন।
মার্কিন সেনারা সিরিয়ায় তৎপর ৪০০ কুর্দি গেরিলাকে প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ শুরু করেছে বলে খবর বের হওয়ার পর আমেরিকার কূটনীতিককে তলব করল তুর্কি সরকার।
তুরস্ক সীমান্তে ওয়াইপিজি’র গেরিলাদের উপস্থিতিতে আঙ্কারা কিছুটা উদ্বিগ্ন। তুরস্ক মনে করে, এসব গেরিলার সঙ্গে কুর্দিস্তান পিপলস ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে গেরিলাদের সম্পর্ক রয়েছে। পিকেকে গেরিলারা কুর্দি অধ্যুষিত এলাকাকে তুরস্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছে।
আগামী বছরের নির্বাচনে এরদোগানকে সমর্থন দিল বিরোধী এমএইচপি পার্টি
২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে আবারো প্রেসিডেন্ট পদে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে তুরস্কের ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি)।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দেন এমএইচপি’র প্রধান দেবলেত বাহসেলি।
গত বছরের সাংবিধানিক গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিজয়ী এরদোগানের পক্ষে তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দেন তিনি।
তুর্কি পার্লামেন্টের ক্ষুদ্রতম চারটি সংসদীয় দলের একটি হচ্ছে এমএইচপি। দলটি এরদোগানকে নির্বাহী ক্ষমতা প্রদানের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত গণভোটেও তাকে সমর্থন প্রদান করেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে দেবলেত বাহসেলি বলেন, ‘এমএইচপি এরদোগানের সমর্থনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী দেবে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানকে সমর্থন করার বিষয়ে এমএইচপি সিদ্ধান্ত নেবে।’
২০১৯ সালে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ উভয় নির্বাচনেই তুর্কি নাগরিকরা ভোট প্রদান করবেন।
পার্লামেন্টে প্রবেশের জন্য কোনো দলের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ১০ শতাংশ ভোট পাওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল চান তিনি। গত দুই দশক ধরে তিনি এমএইচপিকে মূলধারার দলে পরিনত করার চেষ্টা করছেন।
আসন্ন নির্বাচনে দলটিকে দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী নেতা মেরাল আকসেনারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হতে পারে। এমএইচপি থেকে বেড়িয়ে গিয়ে মেরাল আকসেনার তার নিজের পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে যে, আকসেনারের দল এমএইচপি’র ১ শতাংশ ভোট নিজেদের দখলে নিতে পারে এবং ১০ শতাংশ ভোট অর্জনের সীমাকে ধূলিসাৎ করতে পারে।
বাহসেলি বলেন, তার দল এরদোগানের জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করবে। তবে এ বিষয়ে অবশ্যই একে পার্টি থেকে অনুরোধ আসতে হবে।
১৯৯৯ সালের সংসদীয় নির্বাচনে এমএইচপি ১৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন কিন্তু ২০০২ সালে ৯.৫ শতাংশ ভোট পান। ফলে দলটি পার্লামেন্ট থেকে ছিটকে যায়। এরপর থেকে দলটি নির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোটের বাধ্যবাধকতা কাটিয়ে ওঠতে সক্ষম হয় এবং ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ভোটে ১১.৯ শতাংশ ভোট পান।
১৯৬০ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত সাবেক একজন কর্নেল দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। এমএইচপি তুর্কি মিশ্র জাতীয়তাবাদের সমর্থক এবং পশ্চিমাদের প্রতি দলটির ব্যাপক সংশয়বাদ রয়েছে। দলটি তুরস্কের কুর্দি সংখ্যালঘুদের অবাধ স্বায়ত্তশাসনেরও ঘোর বিরোধী।
পাঠকের মতামত