ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৬/১২/২০২২ ১১:৪২ এএম

আফগানিস্তানে কর্মরত পাঁচটি বৃহত্তম এনজিও দেশটিতে নিজেদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। তালেবান শাসকগোষ্ঠী দেশি-বিদেশি এনজিওতে নারী কর্মী নিষিদ্ধ করার একদিন পরই এই সিদ্ধান্ত জানায় সংস্থাগুলো।

বিবিসির খবরে বলা হয়, এক যৌথ বিবৃতিতে কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) এবং সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, ‘নারী কর্মীদের ছাড়া’ তারা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে না। এ ছাড়া ইসলামিক রিলিফ জানিয়েছে যে, তারা দেশটিতে বেশির ভাগ পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। এর পর ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটিও তাদের কার্যক্রম স্থগিতের কথা জানায়।

আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এর আগে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আফগানিস্তানে সমস্ত এনজিওগুলোতে নারীদের কাজ নিষিদ্ধ করে তালেবান। ‘হিজাব না পরার’ কারণ দেখিয়ে দেশি-বিদেশি সব এনজিওতে নারীদের কাজ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শাসকগোষ্ঠীটি। তালেবান তাদের নির্দেশের পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে জানায়, হিজাব না পরে শরিয়া আইন ভঙ্গ করছে এনজিও কর্মীরা।

এবার এনজিওতে নারী কর্মী নিষিদ্ধ করল তালেবানএবার এনজিওতে নারী কর্মী নিষিদ্ধ করল তালেবান
তালেবানের এই নির্দেশকে মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। এমনকি তালেবান তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে দেশটিতে মানবিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে সংস্থাটি। তালেবানের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, সারা বিশ্বেই মানবিক সেবামূলক কার্যক্রমে প্রধান ভূমিকায় কাজ করেন নারীরা। এমন সিদ্ধান্তের ফলে লাখ লাখ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

কিছুদিন আগেই আফগানিস্তানে নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ বন্ধ করে দেয় তালেবান। দেশটির উচ্চশিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী নেদা মোহাম্মদ নাদিম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তালেবানের এমন ঘোষণার পরে বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনা। এর মধ্যেই এনজিওগুলোতে নারীদের কাজ নিষিদ্ধের ঘোষণা আসে।

পাঠকের মতামত