
হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ
টেকনাফে এবারে মহান বিজয় দিবসে চমক সৃষ্টি করেছেন ২ নেতা। দু’জনই জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য। একজন হলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি টেকনাফ-উখিয়া থেকে একাধিকবার নির্বাচিত এমপি ও হুইপ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। আরেকজন হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের একই আসন (২৯৭ কক্সবাজার-৪) থেকে প্রথম নির্বাচিত এমপি টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।
১৬ ডিসেম্বর সকালে দু’জনই টেকনাফে উপস্থিত হন। সকাল ৮.৫৫ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী অঙ্গসংগঠনসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে বিজয় র্যালী করে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর শহীদ আলীউল্লাহ আলো শপিং কমপ্লেক্সে আলোচনা সভায় যোগদান করে প্রধান অতিথির গুরুত্বপুর্ণ বক্তব্য রাখেন।
অপরদিকে নেতা-কর্মীসহ বিজয় র্যালী করে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করে সকাল ৯.১০ টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন কতৃক আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্টান স্থলে উপস্থিত হন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। তাঁর আগমণে উপস্থিত সকলের মধ্যে উৎফুল্ল ভাব দেখা গেছে। আনুষ্টানিক পতাকা উত্তোলন মঞ্চে উপস্থিত থেকে অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর প্যারেড পরিদর্শন করেন। অনুষ্টান মঞ্চে বসেন বিয়াই টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদের পাশে। যা উপস্থিত সকলে উপভোগ করেছেন। অনুষ্টানে তিনিও গুরুত্বপুর্ণ বক্তব্য রাখেন।
সকলেই জানেন, টেকনাফ ও উখিয়া ২ উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন ২৯৭ কক্সবাজার-৪। আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর বাড়ি উখিয়ায়। ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির নিকটে উখিয়ায় জাতীয় দিবসসমুহ পালন করেছেন। সুদীর্ঘ ১ যুগ সময়কাল ধরে একাধারে তিনি ক্ষমতায় নেই। দেশের বর্তমান চলমান পরিস্থিতিতে টেকনাফের ইতিহাসে এই প্রথম একটি জাতীয় দিবসে তাঁর টেকনাফ আগমণে তৃণমুলসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গা ভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। এ উপস্থিতি কোন্দল ও ভেদাভেদ ভুলে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে শক্তি সাহস এবং দলের প্রতি উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়েছে।
অন্যদিকে দল ক্ষমতায় থাকলেও প্রায় দেড় যুগ ধরে এমপি হিসাবে নেই টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। এমপি না হলেও তিনি দীর্ঘদিন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। যা অত্যন্ত মর্যাদা সম্পন্ন পদ। বিশেষ করে তাঁর এমপি থাকাকালীন সময় কারও ভুলার মতো নয়। তাঁর প্রশাসনিক সততা, দক্ষতা, সময়ানুবর্তিতা, দুরদর্শিতা এবং সামাজিক তৎপরতা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পরে জাতীয় দিবসের সরকারী অনুষ্টানে তাঁর উপস্থিতি সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, উপস্থিত দর্শকসহ দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছে।
টেকনাফে জাতীয় দিবসের অনুষ্টানে উক্ত ২ নেতার আগমণে দিনভর শুধু রাজনৈতিক অঙ্গন নয়, সর্বমহলেই আলোচনার ঝড় চলছে।
পাঠকের মতামত