
পাকিস্তানের তারকা অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের চেহেরার সাথে মিল থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি কক্সবাজারের এক নারী ভাইরাল হয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া ঐ নারীর নাম ফাইজা আক্তার (১৯), জেলার টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা।
মাদক মামলায় আসামি হয়ে বর্তমানে কারাগারে বন্দি ফাইজার একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের সাথে ফাইজার তুলনা করে কোলাজ ছবি অসংখ্য ফেসবুক আইডি, মিম পেইজ থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
ফাইজার স্বামী মোহাম্মদ জুবায়ের (৩৭) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী।
গত ১৬ অক্টোবর রাতে সাবরাংয়ের মন্ডলপাড়ায় জুবাইরের ‘মাদক ডেরা’ খ্যাত বিলাসবহুল বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৮ ঘন্টার সেই দীর্ঘ অভিযানে জুবায়েরের স্ত্রী ফাইজা ও বাড়িতে অবস্থানরত আইয়ুব আলী (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১৯ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা, নগদ ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১১ টি দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা তৈরির পাউডার, ২ টি ওয়াকিটকি সেট, ৪ সিসি ক্যামেরা, বিশেষভাবে তৈরি মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংক ও ১ টি ল্যাপটপ।
ফাইজা ধরা পড়লেও কৌশলে বাড়িতে পালিয়ে যান তার স্বামী জুবায়ের। একসময়ের ট্রাক চালক জুবায়ের ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন, তার এই উত্থানে বিস্মিত এলাকাবাসী।
মন্ডল পাড়ার আব্দুর রহিম বলেন, ‘ খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান জুবায়ের বছর দশেক আগেও কিছুই ছিলো না তার। হঠাৎ করে বড়লোক হয়ে আলিশান বাড়ি সম্পদ গড়েছে সে, শুনেছি বিজিবি কিছু দিন আগে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পেয়েছে ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে।’
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘ দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা নজরদারির পর জুবায়েরের মাদক চক্রের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। তার স্ত্রী আটক হলেও সে পলাতক, আমরা তাকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’
‘দেশ থেকে মাদকের কালো ছায়া দূর করতে বিজিবি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘যত শক্তিশালী চক্রই হোক না কেন, মাদকমুক্ত টেকনাফ গড়তে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

পাঠকের মতামত