প্রকাশিত: ১৯/০২/২০২০ ৯:২৮ এএম
ফাইল ছবি

মাহাবুবুর রহমান :tom
টমটম চালকদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স দেওয়ার নামে মাঠে নেমেছে একটি সংস্থা। আড়াই মাসের প্রশিক্ষণ ফি বাবদ ২২ শত টাকা এবং টমটমের লাইসেন্সের জন্য ৯ হাজার টাকার কথা বলে ইতিমধ্যে ৬০ জনকে নিবন্ধন করেছে তারা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর উর্ধতন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর করা কিছু কাগজ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাটারী এবং মটর চালিত অটোরিক্সা ও অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেড কর্মকর্তাদের দাবী এখন থেকে তারাই বিআরটিএর সাথে যৌথভাবে টমটমের লাইসেন্স দেবে। তবে এটাকে প্রতারণা বলে দাবী করে তাদের আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে এ সমস্ত সংগঠনের সাথে কোন ধরণের লেনদেন না করার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।
গত কিছুদিন ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে টমটম মালিক এবং চালকদের প্রশ্ন ছিল টমটম গাড়ীর লাইসেন্স দিচ্ছে এরা কারা? এবং তাদের প্রকৃত কথার সাথে বাস্তবতার মিল কি? নাকি এটিও কোন সংঘবন্ধ প্রতারক চক্র?
উত্তর জানতে বাংলাদেশ ব্যাটারী এবং মটর চালিত অটোরিকশা এবং অটোবাইক সার্ভিল লিমিটেড এর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি আকতার আহামদ জানান, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ ভবনের উপ পরিচালক মোঃ মাসুদ আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে আমাদের সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাটারী এবং মটর চালিত অটোরিকশা ও অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা/অটোবাইকের টাইপ অনুমোদন, রেজিষ্ট্রেশন ও নাম্বার প্লেট প্রদান, বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাটারী এবং মটর চালিত অটোরিকশা ও অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেড কোম্পানী নিজস্ব ব্যানার ও লোগো ব্যবহার করে তাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এছাড়া ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সহকারী সচিব মোঃ লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছে ইলেকট্রনিক ইজিবাইক তথা ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা প্রকৃতপক্ষে ব্যাটরী হতে শক্তি সঞ্চয় করে মোটরদ্বারা চালিত হয়। অর্থাৎ এটি একটি যান্ত্রিক যানবাহন হওয়ায় বিআরটিএর মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন গ্রহন করতে হবে এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টান সমূহ (সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ) কর্তৃক রোড পারমিট প্রদান করার কোন সুযোগ নেই। সে হিসাবে আমাদের সংস্থা সরকারের অনুমতি নিয়ে বিআরটিএর সহযোগিতায় এই সেবাধর্মী কাজ করে যাচ্ছে। এখানে আমরা মূলত টমটম চালকদের প্রথমে আড়াই মাসের একটি প্রশিক্ষণ প্রদান করবো সেই প্রশিক্ষন ফি বাবদ ২ হাজার ২০০ টাকা নেব। এরপরে ৩ মাসের মধ্যে সেই টমটমের লাইসেন্স প্রদান করা হবে এতে খরচ হবে প্রায় ৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত চালক একটি শিক্ষানবীশ কার্ড এবং নির্দিস্ট ড্রেস পাবে।
আকতার আহামদ দাবী করেন এছাড়া আরো অনেক কাগজপত্র আমাদের আছে যেগুলোর মাধ্যমে প্রমাণ করে আমরা বৈধ ভাবে কাজ করছি। তিনি দাবী করেন ইতিমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে আমরা বিষয়টি সকলকে জানিয়েছি। এছাড়া ৮ জানুয়ারী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র, আঞ্চলিক বিআরটিএর কর্মকর্তা সহ সবাইকে চিঠি দিয়ে অবহিতও করা হয়েছে। আর ইতিমধ্যে ৬০ জনকে নিবন্ধন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির বলেন, কিছুদিন ধরে কোন একটি সংগঠন টমটমের লাইসেন্স দেওয়ার নামে বিভিন্ন জায়গায় তাদের লোকজনকে দিয়ে টাকা নেওয়ার কথা শুনে আসছি। আর তারা যে সমস্ত কাগজপত্রের কথা বলছে সেগুলোর সঠিক কোন নির্দেশনা আমাদের কাছে আসেনি। আর সরকার কোন একটি প্রাইভেট সংস্থাকে এভাবে সারা দেশের প্রায় ৮০ লাখ টমটমের দায়িত্ব দেবে এটা কোন সুস্থ মানুষ বিশ্বাস করবে না। কারন এর জন্য সরকারের যথেস্ট দায়িত্বশীল প্রতিষ্টান আছে। আমার মতে এ সমস্ত প্রতিষ্টানের নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। যদি কেউ অভিযোগ করে আমরা সেই সংস্থা বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।
বিআরটিএ’র কক্সবাজার সার্কেলের সহকারী পরিচালক উথোয়াইনু চৌধুরী বলেন, টমটম গাড়ী লাইসেন্স দেওয়া বা চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি। সুতরাং এখানে কোন প্রতিষ্টান টমটম লাইসেন্স দেওয়ার নামে টাকা নিলে সেটা সম্পূর্ণ প্রতারণার সামিল। আমি শুনেছি একটি প্রতিষ্ঠান এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা নিচ্ছে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে ৯ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আমি এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি।সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

মানবতার আলো জ্বলে উঠল কক্সবাজারে- তারুণ্যের অভিযাত্রিক পরিবার

ওমর ফারুক (সংবাদদাতা) কক্সবাজারে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালো সামাজিক সংগঠন তারুণ্যের অভিযাত্রিক ...

মানবপাচার মামলার চার্জশীট থেকে বাদ যেতে মরিয়া টেকনাফের সাব্বির আহমদ সবুয়া

টেকনাফ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কায়ুকখালী পাড়ার আলোচিত ইয়াবা ডন ও মানবপাচারকারী সাব্বির আহমদ প্রকাশ সবুয়া ...

কারাগার থেকে বের হয়ে আবারো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ ও ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে নবী হোসেন গ্রুপ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আলোচিত নবী হোসেন কারাগার থেকে বের হয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার বাহিনীর ...